পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৫০ কোটি টাকার সামঞ্জস্যহীন অর্থ লেনদেন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গত ৫ নভেম্বর তাকে একবার তলবি নোটিশ দেয়া হয়। ওই নোটিশে তাকে ১১ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়। এ সময় তিনি সময় চেয়ে আবেদন করলে ১২ নভেম্বর দ্বিতীয়বার তলবি নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়। চিঠিতে বলা হয়, খালিদীর নিজের এবং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হিসাবে ‘বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন এবং বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ’ অর্জনের অভিযোগে তার বক্তব্য জানা প্রয়োজন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তৌফিক ইমরোজ খালিদী দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। আমার যেহেতু কিছু মালিকানা (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে) ছিল। সেটার একটি অংশ আমি বিক্রি করেছি। সেটা থেকে কিছু টাকা আমার অ্যাকাউন্টে এসেছে। ৩ অক্টোবরে কাগজপত্র সই করা হয়েছে, ৬ অক্টোবর আমার অ্যাকাউন্টে টাকা এসেছে। সেই টাকার যে আয়কর দিতে হবে তা আমি নিশ্চয়ই দেবো। ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে আয়কর হবে আমি সেটা দেবো। আমাকে কেউ কোনোদিন বলতে পারবে না যে, আমি ঠিকমতো আয়কর দিই না। তৌফিক ইমরোজ খালিদী বলেন, যেটা হয়েছে, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। সেই বিনিয়োগের একটি অংশ হচ্ছে, আমরা নতুন শেয়ার ইস্যু করে তাদের কাছে দিয়েছি। আমার অল্প মালিকানায় যেটা আছে, সেটার একটা অংশ বিক্রি করেছি। তাতে আমার একেবারে সম্পদহীন অবস্থা থেকে সম্পদ তৈরি হয়েছে, এতে অবৈধ সম্পদ অর্জন কী করে হলো?
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল, সে ব্যাপারে কমিশনে একটা অনুসন্ধান চলমান আছে। কোনো অভিযোগ এলে কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সেটি অনুসন্ধান করে থাকে। আশা করি অনুসন্ধান করে প্রকৃত বিষয় বেরিয়ে আসবে।
প্রসঙ্গত বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডট কমের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে ‘এলআর গ্লোবাল’ নামক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ কোটি টাকা নিজ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের (মানিলন্ডারিং) অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পদ্মা ব্যাংকের কাছ থেকেও অর্থ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। যদিও খালিদী এই অর্থকে নিজ প্রতিষ্ঠানে ‘বিনিয়োগ’ বলে দাবি করেছেন। মূলত এলআর গ্লোবাল নামক প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ স্টক একচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। অস্বাভাবিক লেনদেনের এ তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এন্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট দুদকে পাঠায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।