Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাজস্ব ঘাটতি ৯০০ কোটি টাকা

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলে ক্রমেই কমে আসছে রাজস্ব আয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে বেনাপোল কাস্টম হাউসে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
তবে পণ্য চালান খালাসে আগের চেয়ে বেড়েছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। শুল্ক ফাঁকি বন্ধে কড়াকড়ি আরোপ করায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। আর এ কারণে রাজস্ব আদায়ে লক্ষমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন বেনাপোল কাস্টমসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়ে থাকে। ৯০ একর জমির ওপর বেনাপোল স্থলবন্দরের অবস্থান। ৫৯ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এ বন্দরে প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টন পণ্য উঠানামা করে। ৩০টি সাধারণ ও দুটি রাসায়নিক ওয়্যারহাউস (গুদাম), সাতটি ওপেন ইয়ার্ড, একটি ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড, দুটি ট্রাক টার্মিনাল, একটি রপ্তানি টার্মিনাল থাকলেও বর্তমানে এডিবির অর্থায়নে আটটি ওয়্যারহাউস ভেঙে বড় দুটি ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে।
পণ্যাগারসহ অবকাঠামো সঙ্কট, অব্যবহৃত ওয়্যারহাউস ও শেড, কার্গো হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতির তীব্র সঙ্কট আর বন্দর কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে পণ্য জটকে আরো ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। আমদানিকারকরা বন্দর থেকে সময়মতো তাদের পণ্য খালাস করতে না পারায় বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ পণ্যজট। কাস্টমসের কার্যক্রম অটোমেটেড হলেও বন্দরের ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারণে সেবাগ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, রাজস্ব বেশি আসে এমন পণ্য চালান কম আমদানি হচ্ছে এই বন্দর দিয়ে। ফলে রাজস্ব কিছুটা ঘাটতি হয়েছে। শুল্ক ফাঁকির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের বৈধ সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে আন্তরিক হয়ে কাজ করেছি।
দুই বছর ধরে কাস্টম হাউস বেনাপোলে কাজ করেছি। সম্প্রতি বদলি হয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। যোগ দেওয়ার পরপরই বেনাপোল উন্নয়নে বাইপাস সড়ক চালু করে সড়ক দিয়ে ৬৫ শতাংশ পণ্য খালাস দেয়া হচ্ছে। বেনাপোলের মূল সড়ক যানজটমুক্তকরণ, আমদানি রফতানি পণ্য বোঝাই ট্রাকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বন্দরের লিংক রোড ১ ও ২ চালু করে ৯ থেকে ৩৬ টি পণ্য চালানের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বেনাপাস সফটওয়্যার উদ্ভাবন, অনলাইনে ই-নিলামের প্রস্তুতি সম্পন্ন, কেমিক্যাল টেস্টের জন্য রমন স্পেক্ট্রোমিটার স্থাপন, মেনিফেস্টে ‘ডি’ চিহ্নিত করে পণ্য চালান দ্রুত শুল্কায়ন করে খালাস দেয়া হচ্ছে। শুল্কায়ন গ্রুপ ভেঙে ছয়টি থেকে ৯টিতে উন্নীতকরণ, শুল্কায়ন সময় হ্রাসে ফ্লোল্ডার সিস্টেম চালু, শুল্কায়নের গতি মনিটরিং, গ্রিন আমদানিকারকের চালান ‘উ’ মার্ক করে দিনে দিনে খালাসের পদক্ষেপ নিয়ে আনস্টাফিং শাখা গঠনসহ চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি উদ্ঘাটনে সোর্স নিয়োগ করা হয়েছে। গত দু বছরে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য চালান দ্রুত খালাশ ও শুল্কায়ন পদ্ধতির আমূল পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন কাস্টমস কমিশনার।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজস্ব


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ