Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্রীয় সফরে কাতারে গেলেন এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

আনুষ্ঠানিক সফরে গতকাল সোমবার কাতারে পৌঁছেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। দোহার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এরদোগানকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন কাতারের উপ প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মদ আল-আত্তিয়াহ, কাতারে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ফিক্রেট ওজর এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা। খবর আল জাজিরা।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি জানিয়েছে, গতকাল সফরে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি’র সাথে কাতার-তুরস্ক উচ্চ কৌশলগত কমিটির পঞ্চম বৈঠকে অংশ নেন এরদোগান। বৈঠকে কাতারের আমিরের সঙ্গে আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। বৈঠকের পরে তার সম্মানে দেওয়া কাতারি আমিরের নৈশভোজেও অংশ গ্রহণ করেন তিনি। এছাড়া কাতার-তুর্কি কম্বাইন্ড জয়েন্ট ফোর্স কমান্ডও পরিদর্শনের কথা রয়েছে তার। এরদোগান কাতারে অবস্থিত তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটিও পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে যেখানে প্রায় ৫০ হাজার তুর্কী সেনা অবস্থান করছে। তুরস্ক থেকে ১০০টি ট্যাঙ্ক কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে কাতার।
এ সফরে এরদোগানের সঙ্গে তার ক্যাবিনেটের পাঁচজন মন্ত্রী সফরসঙ্গী হয়েছেন। তারা হলেন, অর্থমন্ত্রী বেরাট আলবায়রাক, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর, শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ওয়ানেক, বাণিজ্যমন্ত্রী রুহসার বেকগান, ক্রীড়া ও যুবমন্ত্রী মোহাম্মদ কাসাবোগলু। এছাড়া তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ উকতাই, রাষ্ট্রপতির যোগাযোগ অফিসের প্রধান ফখরুদ্দিন আলতুন, এবং গোয়েন্দা প্রধান হাকান ফিদান, আঙ্কারার গভর্নর ওয়াসিব শাহিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
তুরস্ক ও কাতারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আর দু’টি দেশই আঞ্চলিক মিত্র। এছাড়া উভয় দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও সম্পর্ক বেশ দৃঢ়। ২০১৭ সালে উপসাগরীয় দেশগুলো কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর তুরস্কের সঙ্গে কাতারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরালো হয়েছে। ২০১৭ সালের ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সউদী আরব, বাহরাইন, কুয়েত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। সে সময় কাতারের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ইস্তাম্বুল। তুরস্ক থেকে খাদ্যসহ বিভিন্ন সামগ্রী পাঠিয়ে কাতারের অর্থনৈতক সঙ্কট মোকবেলায় সাহায্য করা হয়। এই সংকট শুরুর দুইদিন পর তুরস্কের পার্লামেন্ট কাতারে তাদের সামরিক ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়।
এর আগে, ২০১৫ সালের ১৮ জুন তারিক ইবন জিয়াদ সামরিক ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো অবস্থান নেয় তুর্কি সেনারা। এতে করে কাতারের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। সন্ত্রাস দমন করে এই অঞ্চলে শান্তিও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আশা ব্যক্ত করেন উভয় দেশের নেতারা। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান এবং এরদোগানের বিজয়ে তাকে অভিনন্দন জানানোর পর কাতারের আমির ছিলেন তুরস্কের নেতাকে টেলিফোন করা প্রথম বিশ্ব নেতা। সিরীয় কুর্দি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে ৯ অক্টোবর তুরস্কের সামরিক অভিযান শুরুর পর সউদীসহ অন্যান্য আরব দেশ এ পদক্ষেপের নিন্দা জানালেও দোহা আঙ্কারাকে সমর্থন দিয়েছিল।



 

Show all comments
  • S. chow ২৬ নভেম্বর, ২০১৯, ৯:২৮ এএম says : 0
    GOOD JOB, ata e howaa uchit. AKOTAAAA
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ