Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মির্জাপুরে এনজিও কর্মী রণজিৎ হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ নভেম্বর, ২০১৯, ৮:৩৮ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এনজিও কর্মী রণজিৎ কুমার রায় হত্যার কথা স্বীকার করেছে ঋণ গ্রহিতা ছানোয়ার হোসেন।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলামের আলাদতে ১৬৪ ধারায় ছানোয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিলেও সোমবার বিকেলে মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ছানোয়ার জবানবন্দীতে আদালদকে জানিয়েছে এনজিওকর্মী রণজিৎ কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে ছানোয়ারের স্ত্রীর হাত ধরে টানাটানি করেন। এ দৃশ্য ছানোয়ার দেখে ফেললে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ১৯ নবেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে এনজিওকর্মী রণজিৎকে হত্যার উদ্দেশে শরবতের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করে। তারপর গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বসত ঘরের কোণে লাকড়ীর আড়ালে লাশ ফেলে রাখে। ওইদিন রাতে সুযোগ বুঝে রণজিতের লাশ কাধে করে উপজেলার দুল্যামুনসুর ব্রিজের নীচে ফেলে রাখে বলে ছানোয়ার জবানবন্দীতে জানিয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরদিন সকালে মির্জাপুর থানা পুলিশ নিখোঁজের ২০ খন্টা পর গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় দুল্যামুনসুর ব্রিজের নীচ থেকে রণজিৎ কুমার রায়ের (৩০) লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া সন্ধ্যায় ছানোয়ারের বাড়ির কাছ থেকে রণজিতের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও ব্যাগ এবং বাড়ির ভেতর থেকে মোবাইল, স্যান্ডেল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার সকালে রণজিতের লাশ উদ্ধারের পর ঋণ গ্রহিতা ছানোয়ারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ছানোয়ারকে শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে ১৬৪ধরায় জবানবন্দী দেয় বলে পরিদর্শক (তদন্ত) মোশারফ হোসেন জানান।
পলাতক ছানোয়ারের স্ত্রী রোকসানাকে গ্রেপ্তার করতে পারলে আরও অনেক কিছু পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
রণজিৎ দিশা এনজিও’র মির্জাপুর শাখায় সিনিয়র ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রণজিৎ কুমার রায় ঠাকুরগাঁও জেলার কোষামন্ডল গ্রামের অতুল রায়ের ছেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ