নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিজে ওয়াটলিংয়ের ইতিহাস গড়া ডাবল সেঞ্চুরি ও মিচেল স্যান্টনারের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে রেকর্ড রানের উচ্চতায় উঠল নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে ঝলক দেখানোর পর বল হাতেও নৈপুন্য দেখিয়ে স্যান্টনার ইংল্যান্ডকে করে দিলেন কোণঠাসা। ওয়াটলিং-স্যান্টনারের সৌজন্যে অনেক রেকর্ডের পথ পেরিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে জয়ের পথ তৈরি করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৯ উইকেটে ৬১৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে কিউইরা। ২৬২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামা ইংল্যান্ড দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৫৫ রানে। ইনিংস পরাজয় এড়াতেই ইংলিশদের প্রয়োজন আরও ২০৭ রান।
৬ উইকেটে ৩৯৪ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেছিল কিউইরা। ১১৯ রানে নেমেছিলেন ওয়াটলিং, স্যান্টনার ৩১। সকালের সেশনটা দেখেশুনে কাটিয়ে দেন দুজন। লাঞ্চ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ৫৮ রান। বিরতির আগেই অবশ্য ফিফটিতে পৌঁছে যান স্যান্টনার। বেন স্টোকসের বলে পুল করে নেয়া দুটি রানে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান স্যান্টনার। তবে বড় শট খেলতে গিয়েই শেষপর্যন্ত আউট হয়েছেন তিনি। কারানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন লং-অনে। শেষ হয় ১২৬ রানের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের হয়ে আটে নেমে সবচেয়ে বেশি বল (২৬৯) খেলার রেকর্ড এখন তার। ওয়াটলিংয়ের সঙ্গে তার জুটি থামে ২৬১ রানে। সপ্তম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ জুটি এটিই। পেছনে পড়ে গেছে। ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্রিস কেয়ার্নস ও জ্যাকব ওরামের ২২৫ রানের জুটি।
এক ওভার পরই ৬১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় কিউইরা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের আগের দলীয় সর্বোচ্চ ছিল ১৯৭৩ সালের লর্ডস টেস্টে ৯ উইকেটে তোলা ৫৫১ রান।
চাপে থেকে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালোই করেছিল ররি বার্নস ও ডম সিবলির ব্যাটে। কিন্তু শেষ বিকেলে দ্রুত তিন উইকেট তুলে নিয়ে তাদের বিপাকে ফেলে দেন স্যান্টনার। স্যান্টনারের সাফল্যে লম্বা সময় পর ঘরের মাঠে কোন স্পিনারের উইকেট শিকার দেখলো নিউজিল্যান্ড। এই বাঁহাতি স্পিনার উইকেট নেওয়ার আগে নিজেদের মাটিতে কিউইদের সবশেষ ১০১ উইকেটের সবগুলোই নিয়েছেন পেসাররা। শেষ দিনে স্যান্টনার ও কিউই পেসারদের সামনে ম্যাচ বাঁচানোর কঠিন পরীক্ষায় নামতে হবে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৩৫৩ ও ২য় ইনিংস : ২৭.৪ ওভারে ৫৫/৩ (বার্নস ৩১, সিবলি ১২, ডেনলি ৭*, লিচ ০; সাউদি ৪-০-১৮-০, বোল্ট ৫-৪-২-০, ডি গ্র্যান্ডহোম ৪-১-৮-০, স্যান্টনার ৮.৪-৪-৬-৩, ওয়েগনার ৬-১-১৬-০)
নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস : (আগের দিন ৩৯৪/৬) ২০১ ওভারে ৬১৫/৯ ডি. (ওয়াটলিং ২০৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ৬৫, স্যান্টনার ১২৬, সাউদি ৯, ওয়েগনার ১১*, বোল্ট ১*; ব্রড ৩৩-১৩-৬৪-০, আর্চার ৪২-১৫-১০৭-১, কারান ৩৫-৭-১১৯-৩, লিচ ৪৭-৭-১৫৩-২, স্টোকস ২৬-৫-৭৪-২, রুট ১৮-৩-৬৭-১)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।