নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক দিবারাত্রি টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতদিনের ভুলেও শিক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। তাই তো টেস্ট ক্রিকেটে এত বছরের পরও ভুল থেকে ‘শিক্ষা’ নেওয়ার কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। বাংলাদেশ দল শিক্ষা নিচ্ছে সেই আদিকাল থেকেই। তবে দু:খজনক হলেও সত্য, কোন ফল আসেনি পূর্ব শিক্ষা থেকে।
ইন্দোর টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেও টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল। কলকাতায় ঐতিহাসিক দিবারাত্রি টেস্টেও একই পথ অবলম্বন করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। লোকে বলে ‘ভুল’ থেকে শিক্ষা নেয় মানুষ। অথচ একই ভুল আবারও করলেন মুমিনুল। ফলস্বরূপ প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানেই অলআউট বাংলাদেশ।
গোলাপি বলের ক্রিকেটে ভারতীয় পেস ত্রয়ী শামি, ইশান্ত, উমেশদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না। দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ। এখনও টেস্ট ক্রিকেট কীভাবে খেলতে হয় সেটিই ভুলে গিয়েছে বাংলাদেশ! অন্তত বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুলের কথা শুনেই সেটিই মনে হতে পারে। ম্যাচ শেষে নিজেদের এ ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বললেন তিনি, ‘দুই দলের মধ্যে অনেক ব্যবধান রয়েছে। এ দুই ম্যাচ থেকে আমাদের শিখতে হবে এবং ভুলগুলো শুধরাতে হবে। গোলাপি বলের নতুন বল খেলা চ্যালেঞ্জিং এবং সেই চ্যালেঞ্জটি আমরা নিতে পারি নি।’
ইন্দোর টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হারার পরও মুশফিক, আবু জায়েদের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছিলেন মুমিনুল। ইডেন টেস্টের পর আবারও ইতিবাচক দিক দেখছেন তিনি। বাংলাদেশের মধ্যে মুশফিক ছাড়া ব্যাট হাতে লড়াকু মানসিকতা দেখা পারেনি কেউই। বল হাতে সাফল্য পেয়েছেন এবাদত, আল-আমিন। এসবেই ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন মুমিনুল, ‘এবাদত ভালো বল করেছে পাশাপাশি মুশি (মুশফিক) ভাই, রিয়াদ ভাই ভালো ব্যাটিং করেছে। হারের পরও ইতিবাচক দিক রয়েছে আমাদের।’
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজটা ভীষণ কঠিন কেটেছে মুমিনুলের এতে সন্দেহ নেই। নিজের ব্যাটে নেই রান। দল দুই ম্যাচেই হেরেছে বাজেভাবে। লড়াইবিহীন একপেশে একটি সিরিজ তাই অনায়াসে পকেটে পুরেছে ভারত। পুরো সিরিজে বাংলাদেশকে কেমন দেখলেন? এমন বিশাল দাপট দেখানোর পরও প্রতিপক্ষকে বিন্দুমাত্র ছোট করতে চাইলেন না ভারত অধিনায়ক। সংবাদ সম্মেলনে বিরাট কোহলি ব্যাট করলেন মুমিনুলদের হয়েই, ‘প্রথমত, তাদের (বাংলাদেশ) সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুজন ক্রিকেটার নেই। সাকিব ছিলেন না, তামিম ছিলেন না, সিনিয়রদের মধ্যে কেবল ছিলেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ ছিলেন। কিন্তু মাত্র দুজনকে দিয়ে গোটা একটা দল এগিয়ে নেওয়া যায় না। বাকি সবাই খুবই তরুণ। তারা আরও অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। আমি বলতে চাই, তারা যদি বেশি বেশি টেস্ট খেলে বেশি অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।’
কোহলি বাংলাদেশের কম টেস্ট খেলার ব্যাপারটিকে তুলে ধরে এই ধরনের পারফরম্যান্সকেও স্বাভাবিকভাবে দেখতে চেয়েছেন, ‘আপনি দুই টেস্ট খেলার পর আরও দেড় বছর পর যদি আবার খেলেন, তাহলে কীভাবে চাপ সামলাবেন, সেটা বুঝতে পারবেন না। স্কিল ঠিকই আছে তাদের। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ম্যাচের ওই রকম পরিস্থিতি ঘন ঘন পাওয়া, যাতে ভালো করা যায়।’
কলকাতা টেস্ট শুরুর আগেই বাংলাদেশের মতো দলগুলোর বেতনকাঠামো টেস্টে কতটা গুরুত্ব রাখে, সে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কোহলি। সে কথা এদিন আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তার মতে, টেস্ট ক্রিকেটের বেতনকাঠামো রাখতে হবে সবার উপরে, তাতেই আসবে খেলোয়াড়দের বাড়তি নিবেদন, ‘আমি যেটা বলছিলাম, বোর্ড এবং খেলোয়াড়দের মিলে সমস্যাটা ঠিক করতে হবে, যাতে টেস্ট ক্রিকেট এগিয়ে নেওয়া যায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।