মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুই বছর জিআই তকমা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রসগোল্লা। বাংলার সেই গর্বকে নিয়ে ব্যবসা করার সিদ্ধান্ত নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। খুব শিগগির রাজ্যের তৈরি রসগোল্লা বাজারে আসতে চলেছে।
২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর জিআই কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি পায় বাংলার রসগোল্লা। ফলে উৎস নিয়ে ওড়িশ্যার সঙ্গে কোনও বিরোধ না থাকায় রসগোল্লা বানাবে রাজ্য সরকার। মাদার ডেয়ারির ডানকুনি কারখানায় পরীক্ষামূলকভাবে সে কাজ শুরু হয়েছে। মাদার ডেয়ারির বিভিন্ন স্টলের মাধ্যমে সেই রসগোল্লা বিক্রি করা হবে।
এজন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সাহায্য নেবে রাজ্য প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতর। মিষ্টির গুণমানও যাচাই করবে বিশ্ববিদ্যালয়। রসগোল্লার দাম হবে ১০ টাকা। পাওয়া যাবে ২, ৫ ও ১০টির প্যাকেটে। ইতোমধ্যেই আহারে বাংলার স্টলে দেদার বিকোচ্ছে পান্তুয়া।
তবে বছর দুয়েক আগে বাংলার রসগোল্লা ‘জিয়োগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন’ বা জিআই তকমা পেলেও পুরোপুরি ‘কলুষমুক্ত’ হয়নি। কারণ গত জুলাইয়ে ওড়িশ্যাও জিআই তকমা পায় তাদের ‘রসগোলা’র জন্য। দু’টি মিষ্টির আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যও উঠে আসে।
কিন্তু ‘বাংলার রসগোল্লা’র হয়ে পেশ করা দাবির কয়েকটি দিক নিয়ে আপত্তি তোলেন রমেশ চন্দ্র সাহু নামে ভুবনেশ্বরের এক বাসিন্দা। বাংলাই প্রথম রসগোল্লার উৎপত্তি বলে দাবি করা হয়। রমেশবাবু এই দাবি সংশোধনের আর্জি জানান।
তার দাবি, জগন্নাথধামে রসগোল্লা ভোগের ঐতিহ্য বহু প্রাচীন। তবে জগন্নাথধামের সেই রসগোল্লা আদৌ ছানার গোল্লা কি না, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
তবে ২১ অক্টোবর বাংলার রসগোল্লার জিআই তকমা সংশোধনের আর্জির যৌক্তিকতা তারা বিচার করেননি বলে জানায় চেন্নাইয়ে জিআই নথিভুক্তির দফতর। তারপরই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামনে রসগোল্লা তৈরির সব রাস্তা খুলে যায়।
ইতোমধ্যেই গর্বের ১৪ নভেম্বরকে সামনে রেখে চার দিনব্যাপী রসগোল্লা উৎসব হয়েছে রাজ্যে। রবীন্দ্রসদনের কাছে মোহরকুঞ্জে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রসগোল্লাপ্রেমীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সূত্র : কলকাতা২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।