Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাষ্ট্রদ্রোহিতা-সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ অস্বীকার মোরালেসের

বলিভিয়া পরিস্থিতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বলিভিয়াজুড়ে ‘অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য’ ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসবাদের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছে জিনাইন অ্যানেজের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। মোরালেসের নির্দেশেই তার সমর্থকরা বিভিন্ন মহাসড়ক আটকে রেখেছেন, যা রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরতুরো মুরিলো। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বামপন্থি নেতা মোরালাসে টুইটারে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

চলতি মাসে সেনাবাহিনী ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলার পর আদিবাসী এ নেতা পদত্যাগ করে মেক্সিকোতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। এরপর থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। মোরালেস ও তার সমর্থকরা অ্যানেজ সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতাদখলের অভিযোগ আনেন।
মোরালেসপন্থিদের বিক্ষোভে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হামলা ও গুলিতে অন্তত ২৯ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুরিলো জানান, মেক্সিকো থেকে মোরালেসই যে তার সমর্থকদের দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির কথা বলেছেন, সে সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ডিং কৌঁসুলিদের হাতে দেয়া হয়েছে।
“আমরা রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও সন্ত্রাসবাদের দায়ে তার সর্বোচ্চ সাজা চাইবো,” বলেছেন তিনি।
মোরালেস পরে টুইটারে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, যে অডিও রেকর্ডিংয়ের সূত্রে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা ‘সাজানো’।

বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের কৌঁসুলিরা কেন বিক্ষোভকারীদের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করছে না, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। মোরালেস দেশে ফিরলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে এর আগেই অ্যানেজ শাসিয়েছিলেন।
২০০৫ সালে প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হওয়া মোরালেসের ১৪ বছরের শাসনামলে লাতিনের দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। যদিও সংবিধান পরিবর্তন করে তার চতুর্থবার নির্বাচিত হওয়া নিয়ে অনেকের মধ্যেই অসন্তোষ আছে। চলতি বছর অক্টোবরের প্রথম দফা নির্বাচনে মোরালেস জয়ী হলেও বিরোধিরা ভোটের ফলে জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিক্ষোভ শুরু করে।
কয়েক সপ্তাহের ওই বিক্ষোভে পরে দেশটির পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরও যোগ দিতে দেখা যায়। পরে সেনাবাহিনী আদিবাসী নেতা মোরালেসকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বললে বামপন্থি এ নেতা পদত্যাগ করেন। সূত্র : রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ