মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরবের অধিকাংশ নিয়োগকর্তার চরম উদাসীনতা ও গাফিলতির দরুন দেশটিতে আটককৃত বৈধ বাংলাদেশি কর্মীরাও সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। আকামা থাকার পড়ও প্রবাসী কর্মীরা আটক হলে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকর্তাদের ফোন করা হলে থানা থেকে যোগাযোগ করে কর্মীদের ছাড়িয়ে আনা হয় না। সউদী থেকে দেশে ফেরত আসা ভুক্তভোগী কর্মীরা এসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে আড়াই মাস-তিন ধরে সউদী গিয়েও পুলিশে ধরা পড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।
ভিটেমাটি ও গবাদি পশু বিক্রি এবং ঋণ করে সউদী গিয়ে অনেক নিরীহ কর্মী সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সউদী প্রত্যাগত এসব অসহায় কর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
চলতি মাসে সউদী থেকে ২৬ শতাধিক কর্মী দেশে ফিরেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় সউদী এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (এসভি ৮০৪) যোগে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তারা। বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেক্সের সূত্র মতে, চলতি বছরের গত ১০ মাসে সউদী আরব থেকে দেশে ফিরেছেন প্রায় ২১ হাজার বাংলাদেশি কর্মী।
শুক্রবার রাতে ফেরা নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারে আফজাল (২৬) মাত্র আড়াই মাস আগে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ করে সউদী আরব যায়। ভাগ্য এতটাই খারাপ যে, রুম থেকে বের হয়েছিলেন বাজার করার জন্য কিন্তু পথ থেকে তাকে ধরে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আকামাও ছিল আফজালের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কামরুলও ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করে আড়াই মাস আগে সউদী গিয়েছিলেন। কিন্তু তাকেও দেশে ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। দুই বছর ধরে সেলুনে কাজ করতেন কুমিল্লার নন্দন কুমার। আকামার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিয়োগকর্তাকে সাড়ে ছয় হাজার রিয়াল দিয়েছিলেন, কিন্তু আকামা করে দেয়া হয়নি তাকে। পুলিশের হাতে নন্দন গ্রেফতারর হলে নিয়োগকর্তাকে ফোন দিলেও দায়িত্ব নেয়নি। ফলে তাকেও শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হয়েছে।
একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মন্টু মিয়া ও সাইদুল ইসলাম, নরসিংদীর নাইম, হবিগঞ্জের ফারুক হোসেন ও ঢাকার সাইফুল ইসলাম।
দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, আকামা তৈরির জন্য কফিলকে (নিয়োগকর্তা) টাকা প্রদান করলেও অনেক কফিলই আকামা তৈরি করে দেয় না। পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর কফিলের সাথে যোগাযোগ করলেও গ্রেফতার হওয়া কর্মীদের কোনো দায় দায়িত্ব নিচ্ছে না। বরং কফিল প্রশাসনকে বলেছেন, ক্রুশ (ভিসা বাতিল) দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিতে।
বায়রার শীর্ষ নেতা মিজানুর রহমান সউদী থেকে আকামাধারী কর্মী ফেরত আসায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, জনশক্তি রফতানি খাত থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আয় হচ্ছে। লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে সউদী গিয়ে বৈধ আকামা থাকার পরেও গ্রেফতার হয়ে কর্মীরা দেশে ফেরার রেমিট্যান্সে ধাক্কা লাগবে। তিনি সউদীতে আটকৃত কর্মীদের দ্রুত আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে জনবল বৃদ্ধি এবং দূতাবাসকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রীকে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।