নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চা বিরতির পর প্রথম ওভারেই বাংলাদেশ পেল বড় সাফল্য। নিজের প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিলেন ইবাদত হোসেন। ওভারের শুরুটায় ছিল রোহিতের দাপট। টানা দুই বলে আদায় করেছিলেন বাউন্ডারি। ইবাদত শোধ তুললেন দারুণ ডেলিভারিতে। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে বল সিমে পড়ে ভেতরে ঢোকে অনেকটা। বাইরে যাবে ভেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন রোহিত। বল লাগে প্যাডে। এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস।
রোহিত রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু টিকতে পারেননি। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল লাগত অফ স্টাম্পের বেলসে। আম্পায়ার্স কলে আউট রোহিত, টিকে থাকে ভারতের রিভিউ। ১২ রানে জীবন পেয়ে রোহিত আউট হলেন ২১ রানে। ভারতের রান ২ উইকেটে ৪৩।
আগারওয়ালকে দ্রুত ফেরাল বাংলাদেশ
প্রথম টেস্টে ২৪৩ রানের ইনিংস খেলা মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে এবার দ্রুত ফেরাতে পারল বাংলাদেশ। ৫ বছর পর টেস্টে ফেরা আল আমিন হোসেন বাংলাদেশকে এনে দিলেন প্রথম উইকেট। অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা ডেলিভারি স্টিয়ার করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন মায়াঙ্ক। কিন্তু বেশি জোরের ওপর খেলতে গিয়ে টাইমিংয়ে একটু গড়বড় করে বসেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় গালিতে। দারুণ গতিতে ছুটে আসা বল হাতে জমান মেহেদী হাসান মিরাজ।
১৪ রানে ফিরলেন মায়াঙ্ক। ভারত ৪.৪ ওভারে ১ উইকেটে ২৬। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছে ১০৬। রোহিত শর্মার সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা।
লজ্জায় শেষ বাংলাদেশের ইনিংস
শেষ ব্যাটসম্যান আবু জায়েদকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ করে দিলেন মোহাম্মদ শামি। স্লিপে রোহিত শর্মার হাত ফসকে আসা বল ক্যাচে পরিণত করলেন চেতেশ্বর পুজারা। টেস্টে তার ৫০তম ক্যাচ। শূন্য রানে আউট হলেন আবু জায়েদ, বাংলাদেশ ইনিংসের চতুর্থ শূন্য।
এরআগে সতীর্থদের ব্যর্থতার ভীড়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করছিলেন নাঈম হাসান। দুর্দান্ত লেগ কাটারে তার স্টাম্প উপড়ে দিলেন ইশান্ত শর্মা। পূর্ণ করলেন নিজের ৫ উইকেট। ১০৬ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৩০.৩ ওভারে ১০৬ (সাদমান ২৯, ইমরুল ৪, মুমিনুল ০, মিঠুন ০, মুশফিক ০, মাহমুদউল্লাহ ৬, লিটন ২৬ (আহত অবসর), নাঈম ১৯, ইবাদত ১, মিরাজ ৮, আল আমিন ১*, আবু জায়েদ ০; ইশান্ত ১২-৪-২২-৫, উমেশ ৭-২-২৯-৩, শামি ১০.৩-২-৩৬-২, জাদেজা ১-০-৫-০)।
বদলি মিরাজও সাঝঘরে
‘কনকাশন’ বদলি হিসেবে লিটনের জায়গায় ব্যাট করতে নামলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও নিয়মে আছে, কারও বদলি নামাতে হলে একই ধরনের ক্রিকেটার হতে হবে। মিরাজ এমনিতে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান বা কিপার-ব্যাটসম্যান নন। তাই মিরাজকে খেলতে হবে স্রেফ ব্যাটসম্যান হিসেবে।
তিনি ব্যক্তিগত ৮ রান করে ফেরেন। স্কোর : ৯৮/৮
প্রথম সেশন শেষ, ধ্বংসস্তূপে বাংলাদেশ
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরেছে মুমিনুলবাহিনী। মাথায় আঘাত পাওয়ায় লিটনের অবসর দিয়েই শেষ হয়েছে প্রথম সেশন। বিরতির পর যদি লিটন ফিরতে না পারেন ব্যাটিংয়ে, বাংলাদেশের ইনিংস তাহলে শেষ হতে পারে দ্রুতই!
লিটন যদি শেষ পর্যন্ত আর ফিরতে না পারেন, চাইলেই ‘কনকাসন’ বদলি পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই বদলি নেওয়ার উপায় নেই। বাংলাদেশের স্কোয়াডে যে বাড়তি কোনো ব্যাটসম্যানই নেই! স্কোয়াডে বাকি আছেন আর মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান। তারা কেউই নন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান বা কিপার-ব্যাটসম্যান।
প্রথম সেশন শেষে স্কোর: ২১.৪ ওভারে ৭৩/৬
মাহমুদউল্লাহর বিদায়, বাংলাদেশ ৬০/৬
ইশান্ত শর্মার অফ স্টাম্প ঘেষা বলটিতে ব্যাট পেতে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটের কানায় লেগে বল যাচ্ছিল প্রথম স্লিপের দিকে। নিচুও হয়ে গিয়েছিল অনেকটা। ঋদ্ধিমান শরীর পুরো শূন্যে ভাসিয়ে ডানদিকে ঝা!পিয়ে এক হাতে গ্লাভসে জমালেন বল। মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন ২১ বলে ৬ রান করে। ইশান্ত নিলেন দ্বিতীয় উইকেট। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ৬০। লিটন দাসের সঙ্গে উইেকটে এখন নাঈম হাসান।
উমেশের তৃতীয় শিকার সাদমান
উইকেট পতনের স্রোতে সামিল হলেন সাদমান ইসলামও। বাজে ফুটওয়ার্কে শেষ হলো বাঁহাতি ওপেনারের ইনিংস। তৃতীয় শিকার ধরলেন উমেশ যাদব। অফ স্টাম্পে পিচ করা বল বেরিয়ে যাচ্ছিল বাইরে দিয়ে। ছেড়ে দেওয়া যেত অনায়াসেই। সাদমানের পা নড়ল না, কিন্তু নড়ল ব্যাট। বাইরের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে ডেকে আনলেন নিজের পতন। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ভারতীয় কিপারের এটি শততম ডিসমিসাল।
৫২ বলে ২৯ রানে ফিরলেন সাদমান। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৩৮।
দলকে বিপদে ফেললেন মুশফিক
দলকে উদ্ধার করতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমও। এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ফিরলেন দলকে আরও বিপদে ঠেলে। মোহাম্মদ শামির বল স্টাম্পে টেনে এনে বিদায় নিলেন শূন্য রানে। অফ স্টাম্প লাইনে খানিকটা শর্ট অব লেংথ বলটি আলগা হাতে ডিফেন্স করেছিলেন মুশফিক। বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে খানিকটা। মুশফিক ব্যাট পেতেছিলেন শরীর থেকে খানিকটা দূরে। তাতেই সর্বনাশ। বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেট পড়ে গিয়ে লাগে স্টাম্পে।
আগের টেস্টে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক এবার বিদায় নিলেন ৪ বলে শূন্য রানে। টেস্টে তার একাদশ শূন্য। বাংলাদেশ বিপর্যন্ত শুরুতেই। দ্বাদশ ওভারে রান ৪ উইকেটে ২৬।
ফিরে গেলেন মিঠুনও
অধিনায়ক মুমিনুলের বিদায়ের দুই বল পরে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন মিঠুনও। উমেশ যাদবের বলে ইনসাইড এজ হয়ে ফিরে যাওয়ার আগে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭ রান।
শূন্যতেই ফিরলেন মুমিনুল
দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারলেন না মুমিনুল হকও। বাংলাদেশ অধিনায়ক শূন্য রানে ফিরলেন স্লিপে রোহিত শর্মার অসাধারণ ক্যাচে। নতুন স্পেলে ফেরা উমেশ যাদবের প্রথম ডেলিভারি সেটি। পিচ করে বল বেরিয়ে যাচ্ছিল অ্যাঙ্গেলে। মুমিনুল পেতে দিলেন ব্যাট। লাইন কাভার করেননি, বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় স্লিপে বিরাট কোহলির দিকে। ভারতীয় অধিনায়ক প্রথম স্লিপে অপেক্ষা করছিলেন বল তার হাতে আসার। কিন্তু দ্বিতীয় স্লিপ থেকে ফুল লেংথ ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বল এক হাতে তালুবন্দী করলেন রোহিত।
টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তমবার শূন্য রানে ফিরলেন মুমিনুল। বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১৭।
শুরুতেই ইমরুলের বিদায়
ইশান্ত শর্মার রাউন্ড দ্য উইকেটে করা বলটি অনেকটা শাফল করে খেলতে চেষ্টা করেছিলেন ইমরুল। কিন্তু বল পিচ করে ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে আরেকটু ভেতরে ঢুকে লাগে পায়ে। খালি চোখেই মনে হচ্ছিল আউট, রিভিউয়ে সেটিই নিশ্চিত হয়েছে। ১৫ বলে ৪ রান করে আউট হলেন ইমরুল। বাংলাদেশ ৬.৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৫।
সাদমানের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন মুমিনুল হক।
সতর্ক শুরু টাইগারদের
ইডেনে গোলাপি টেস্টে টাইগারদের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করছেন ইমরুল কায়েস এবং সাদমান ইসলাম। এই রিপোর্ট লেখা অবধি ৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫ রান। উইকেটে আছেন, ইমরুল কায়েস (৪) এবং সাদমান ইসলাম (১০)।
স্কোর : ১৪/০ (৫ ওভার)
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ফ্লাডলাইটের কৃত্রিম আলো আর গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জে নাম লেখাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হতে যাচ্ছে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের দলপতি মুমিনুল হক।
মুমিনুলের মতে, ঘাসের ছোঁয়া থাকলেও উইকেট বেশ শুষ্ক এবং খানিকটা শক্তও। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হওয়ার কথা। শুরুতে যদিও চ্যালেঞ্জ থাকবে। তবে হাসিমুখে মুমিনুল বললেন, “সাহসী সিদ্ধান্ত, সাহসিকতার সঙ্গেই খেলতে হবে।”
টস জিতলে ভারতও আগে ব্যাটিং করত, জানালেন বিরাট কোহলি। তার ধারণা, প্রথম দুই সেশনে স্পিনারদের বড় ভূমিকা থাকবে। সেদিকেই তাকিয়ে ভারত অধিনায়ক।
বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন দুটি। অনুমিতভাবেই তিন পেসার নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের জায়গায় একাদশে এসেছেন আল আমিন হোসেন। ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর আবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেলেন এই পেসার।
আরেকটি পরিবর্তন স্পিন বিভাগে। দলের একমাত্র স্পিনার হিসেবে এই টেস্টে খেলছেন দরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান। বাদ পড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
অন্যদিকে আগের ম্যাচে তিন দিনেই জয় পাওয়া একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি ভারত। তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়েই খেলছে বিরাট কোহলির দল।
বাংলাদেশ একাদশ : ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন দাস, নাঈম হাসান, আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন, আল আমিন হোসেন।
ভারত একাদশ : রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পুজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।