Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতের দমননীতি কাশ্মীরে জঙ্গিবাদ উসকে দিচ্ছে : এইচআরডব্লিউ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৫ এএম, ২১ নভেম্বর, ২০১৯

অধিকৃত কাশ্মীরে ভারত সরকারের দমনমূলক কৌশল এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে সেখানে জঙ্গি গ্রুপগুলোর পক্ষে ‘সমর্থন ও তাদের জনবল নিয়োগের’ মাত্রা বাড়ছে এবং এর ফলে জঙ্গিবাদ উসকে দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন এইচআরডাব্লিউ। মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপিত এক লিখিত বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) আরও উল্লেখ করেছে যে, কাশ্মীরীদের বিক্ষোভ দমনের জন্য ভারত ‘অতিরিক্ত শক্তি’ ব্যবহার করছে। এইচআরডাব্লিউ’র এশিয়া অ্যাডভোকেসি ডিরেক্টার জন সিফটন বলেন, “কাশ্মীরের অতীতের সমস্ত সমস্যার জন্য ভারত সরকার ক্রস-বর্ডার জঙ্গি গ্রুপ এবং তাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের মতো বাইরের বিষয়গুলোর উপর বেশি নজর দিয়েছে এবং সরকারের দমন নীতি ও অধিকার লঙ্ঘনের কৌশলগুলোকে অবজ্ঞা করে এসেছে, যেগুলোর কারণে জঙ্গি গ্রুপগুলোর প্রতি মানুষের সমর্থন এবং তাদের জনবল নিয়োগের মাত্রা বেড়েছে”। সিফটনসহ অর্ধ-ডজন ব্যক্তি ইউএস কংগ্রেস টম ল্যান্টোস হিউম্যান রাইটস কমিশনের সামনে অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে সাক্ষ্য দেন। লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাশ্মীরে সহিংস বিক্ষোভ ও জঙ্গি হামলার মাত্রা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনে প্রায়ই অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করছে। এর মধ্যে জনতাকে দমনের জন্য ছড়ড়া বন্দুক ব্যবহার করা হয় প্রায়ই, যেটার কারণে বেশ কিছু বিক্ষোভকারী নিহত এবং আরও বহু আহত হয়েছে”। “বিভিন্ন জঙ্গিবাদ দমন অভিযানে ভারতীয় সেনারা যে সব মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, সেগুলোর জন্য তাদেরকে খুব কম সময়ই বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে”। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, মারাত্মক ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীকে দায়মুক্তি দেয়ার জন্য আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট (এএফএসপিএ) করা হয়েছে, যেটার কারণে তারা বাধাহীনভাবে শক্তির অপব্যবহার করে যাচ্ছে। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে এই আইন কার্যকর করার পর থেকে ভারত সরকার কোন একটি মামলাতেও সামরিক বাহিনীদের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেসামরিক আদালতে মামলা করতে দেয়নি। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ভারত সরকার কাশ্মীরে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়, মোবাইল সংযোগ ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। ২০১৯ সালে কাশ্মীরে ৫৫ বার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে এবং এই হার ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও বলেছে, “ইন্টারনেট সেবা বন্ধের দিক থেকে ভারত বিশ্বের এক নাম্বারে অবস্থান করছে। নভেম্বরে ভারতের কর্তৃপক্ষ ৮৫ বার এ ধরনের সংযোগ বিচ্ছিন্নের নির্দেশ দিয়েছে”। সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 



 

Show all comments
  • jack ali ২১ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৮ এএম says : 0
    Allah [SWT] will ask all so called muslim leaders why don't you rescue your oppressed brother and sisters all around the world?????????????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ