গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীনকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চ এ জামিন দেন। আদালতে এএমএম বাহাউদ্দীনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান এবং অ্যাডভোকেট একেএম ফজলুল হক। গত ৪ নভেম্বর ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এজাহারে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা প্রয়োগ করা হয়।
জামিন আবেদনে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ দুদক সম্পর্কে সম্প্রতি দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুদকের বিভিন্ন কর্মকান্ডের গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় দৈনিক ইনকিলাবে। বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে চুনোপুটিদের পাকড়াও করছে দুদক। এর ফলে দেশের অর্থনীতি, শিল্প বিনিয়োগে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ এ প্রতিষ্ঠান। এ ধরণের বিষয়গুলো তুলে ধরে পরপর বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনকিলাব। সর্বশেষ ১ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এর দু’দিন পরই ৪ নভেম্বর দুদক মামলা করে প্রভাবশালী জাতীয় দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক-প্রকাশক জনাব এএমএম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে। এ সময় দুদক আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ২০১৬ সালে তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন ও বিধি অনুসারে এ মামলা করা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের সঙ্গে এ মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। এ সময় অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জনাব এএমএম বাহউদ্দীনের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরুর প্রথম নোটিসটি লক্ষ্য করুন। ২০১৬ সালে তার বিষয়ে দুদক প্রথম চিঠি দেয়। অনুসন্ধানে কোনো অবৈধ সম্পদ খুঁজে না পাওয়ায় বেশ কয়েকবার অনুসন্ধান কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। এভাবে পাঁচ বছর অতিবাহিত হতে চললেও দুদক এতোদিন মামলা করেনি। যখনই দুদকের বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা সম্বলিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো তখনই এ মামলা করা হলো। একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সংবাদ প্রকাশ করার কারণে এ মামলা হতে পারেনা। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি এখন হাইকোর্টে জামিন প্রার্থনা করছেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত চার সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেফতার কিংবা হয়রানি করা যাবে না বলেও জানান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।