মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের চীনবিরোধী আন্দোলনে বিক্ষোভাকারীদের অবরোধ করে রাখা রাজপথ খুলে দিতে চীনা সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এতে করে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এক সময়ের ব্রিটিশ উপনিবেশ হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে, যা ম‚ল চীনের চেয়ে ভিন্ন। ৯ জুন হংকংয়ে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা, ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে একপর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবি। সোমবারের বিক্ষোভে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির অনেক সেনা সদস্য এখন হংকংয়ে অবস্থান করছে। টি-শার্ট ও শর্টস পরে তারা কলুনে নিজেদের ব্যারাক থেকে হংকং বাপ্টিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে। সেখানেই বিক্ষোভকারীদের দমনে ব্যারিকেড স্থাপন করেছে পুলিশ। বিগত পাঁচ মাস ধরে চলা আন্দোলনে বেশ কয়েকবার চীনা হস্তক্ষেপের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। হংকংয়ে পিএলএর’র ১২ হাজার সেনা অবস্থান করছে। শুধুমাত্র ত্রাণকার্যে কিংবা শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কাজে স্থানীয় সরকার চাইলে তারা যুক্ত হওয়ার এখতিয়ার রাখে। বিগত ২২ বছরে রাজপথে শুধু একবারই সেনাবাহিনীকে ভ‚মিকা রাখতে দেখা গেছে। সেটা গত বছর ঘ‚র্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য। এবার সেনা মোতায়েনের পর বিক্ষোভকারীরা এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেয়, আজকের শুদ্ধিঅভিযান কালকের সরকার পতন।’বিবৃতিতে বলা হয়ম ‘হংকংয়ের প্রতিশ্রুতি স্বায়ত্বশাসনের পরিপন্থী এই কাজ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ হংকং নিজেদের আসল রুপ দেখাতে শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন বিক্ষোভকারীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন সরাসরি যুক্ত হয়ে এই পরিস্থিতিতে আরও ঘোলাটে করার সম্ভাবনা কম। কারণ এতে করে আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দার ঝড় উঠবে এবং চাপ আসবে। গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।