Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডা. কালিদাস বৈদ্যের বইয়ের বিষয়ে সরকারের কাছে সত্যতার ব্যাখ্যা দাবি

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জাতীয় গণচেতনা পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান সর্দার ও মহাসচিব আনিসুর হক এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেছেন ফেসুবক: গড়ংঃধভধ অহধিৎ কযধহ আইডিতে প্রকাশিত ডা. কালিদাস বৈদ্যের বই ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালের শেখ মুজিব’-এর পবিত্র কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা ও শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তি করেছেন। নেতৃবৃন্দ সরকার ও মোস্তফা আনোয়ার খানের কাছে বইটির সত্যতার ব্যাখ্যা দাবি করেন।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ডা. কালিদাস বৈদ্য লিখিত ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পড়া উচিৎ এবং প্রত্যেক মন্ত্রী, এমপিসহ সকল বিবেকবান মানুষের পড়া থাকা উচিৎ। কারণ কালিদাস বৈদ্য তার বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব বইয়ে যা লিখেছেন তাতে দেশে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য এই বইয়ের কারণে যাতে কোনো ধরনের অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি হতে না পারে  সেজন্য সবাই যেন সজাগ থাকে। ’৭১ সালের যুদ্ধের বিষয়ে বাবু কালিদাস বৈদ্য যা বলেছেন তা সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপ্রসূত। ’৭১ সালের যুদ্ধের সাথে কোরআনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। বাবু কালিদাস বৈদ্য ‘বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালে শেখ মুজিব’ বইয়ে সূরা তওবার ৫নং আয়াত, সূরা নিসার ৮৯নং আয়াত, সূরা আন ফালের ৩৯নং আয়াত, সূরা মোহাম্মদ-এর ৪নং আয়াতের অপব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, ’৭১ সালে এদেশের মুসলমানরা এই আয়াতগুলো তামিল করতে গিয়ে ত্রিশ লক্ষ হিন্দুকে হত্যা করেছে, হিন্দুদের বাড়িঘর লুণ্ঠনের পর তা জ্বালিয়ে দিয়েছে। হিন্দু নারীদের নির্যাতনের পর ধর্ষণ করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ’৭১ সালে ত্রিশ লক্ষ হিন্দু হত্যা হয়নি, কোরআনের আয়াতের দোহাই দিয়ে হিন্দু নারীদের ধর্ষণ করা হয়নি। এসব কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। কোরআনের এই আয়াতগুলো এজন্য নাজিল হয়নি। বইয়ে দাবি করা হয়, পাকিস্তানের তৎকালীন ভাবী প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব ২৫শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা দেননি বরং পাকিস্তানের অখ-তা রক্ষার জন্য লে. জে. টিক্কা খানকে দিয়ে অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে পশ্চিম পাকিস্তান চলে গিয়েছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরিরত নি¤œপদস্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই সুযোগ ভারত গ্রহণ করে পাকিস্তান ভাঙার সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডা. কালিদাস বৈদ্যের বইয়ের বিষয়ে সরকারের কাছে সত্যতার ব্যাখ্যা দাবি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ