Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবরারের সঙ্গে খুনিদের সম্পর্ক নিয়ে ফাইয়াজের স্ট্যাটাস ভাইরাল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৩৮ এএম

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার দেড় মাস পার হলেও এখনো থামেনি তার মা ও স্বজনদের কান্না। তার মাকে সঙ্গ দিতে কয়েকদিন আগে বুয়েটের কয়েক শিক্ষার্থী তাদের বাড়ীতে যান। সেখানে আবরারের মায়ের জন্য তারা রান্না করেন এবং একসঙ্গে তা পরিবেশনও করেন। তারা আবরারের মাকে মা বলে ডাকেন।
এদিকে আবরারের সঙ্গে তার সহপাঠীদের (যারা তাকে খুন করে) কেমন সম্পর্ক ছিলে তা নিয়ে তার ছোট ভাই ফাইয়াজ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে যা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাসটি দেয়ার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‌‘ভাইয়া মারা যাওয়ার আগে ভাইয়ার শেষ কথা যা তখন পাশে থাকা ব্যাচমেটদের বলেছিল: ‘‘তোদের সাথে কোনো ভুল করে থাকলে আমাকে মাফ করে দিস। আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিও। বলে কালেমা পড়ে”।

অথচ এই খুনিদের মধ্যে

১. মিজান: হলের অনেকেই তাকে অনেক খারাপ জানলেও তারা ভাইয়ের কাছ থেকে জানতে পারে মিজান নাকি অনেক ভালো। বাকি রুমমেটদের মতবাদ অনুযায়ী রুমে মিজানের সবচেয়ে বেশি সখ্য ছিল ভাইয়ার সাথে। কোথাও বাইরে খেতে গেলে নাকি ভাইয়াকে ছাড়া যেতই না।

২.মোয়াজ: ভাইয়ার রোল ৯৮ তার ১০৬। ভাইয়ার সাথে তার ভালো বন্ধুত্ব থাকলেও সে সেখানে উপস্থিত ছিল।

৩.তোহা: ভাইয়ার ১০৭ এর রুমমেট। যার সাথে দীর্ঘ সময় থাকায় ভালো সম্পর্ক ছিল।

৪.শামীম বিল্লাহ: একে টিউশন ঠিক করে দিয়েছিল ভাইয়া।

খুনিদের মধ্যে দুজন কয়েক দিন আগেই সিলেটে গেছিল ভাইয়ার সাথে।

আসলে এদের তো সন্দেহ করার কোনো সুযোগ ছিল না যে এরাই এমন ষড়যন্ত্র করছে।

আগে একটা প্রবাদ পড়তাম: দুঃসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু (A friend in need is a friend indeed)।

বাবা-মা ছোট থেকে বলত বন্ধু থাকা ভালো না যখন কিছু হবে না তখন এরা সবসময় সাথে থাকবে কিন্তু বিপদে পড়লে দেখবি কোনো বন্ধুকে খুঁজে পাবি না।

তখন অগ্রাহ্য করলেও এখন ঠিক বুঝেছি কথাগুলা আসলেই ঠিক ছিল। যতই ভাই বলে ডাকা হোক না কেন বিপদে রক্তের সম্পর্ক ছাড়া কেউ আসে না।

(মৃত্যুর পর বুয়েটের ভাইয়ারা যা করছে তার জন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ)’।

প্রসঙ্গত গত ৫ অক্টোবর দিল্লিতে হায়দ্রারাবাদ হাউসে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এসব চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ।

পরদিন রাতে বুয়েট শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।



 

Show all comments
  • Abdul Malek ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ২:০৪ পিএম says : 0
    Allah bicar korbe
    Total Reply(0) Reply
  • Zahudul islam ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ৩:২৪ পিএম says : 0
    মন্তব্য করার জন্য ইমেইল ও ফোন নম্বর এর কি দরকার ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবরার হত্যা

১০ ডিসেম্বর, ২০২১
৯ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ