Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গৌহাটির সাফল্য ধরে রাখতে চায় হ্যান্ডবল

জাহেদ খোকন | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের আগের আসরে হ্যান্ডবল ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ পুরুষ দল সেমিফাইনাল খেললেও নারীরা খেলেছে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। ২০১৬ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসে প্রত্যাশা অনুযায়ীই সাফল্য পায় লাল-সবুজের মেয়েরা। স্বর্ণের লড়াইয়ে থাকার আশা নিয়ে গৌহাটিতে গিয়ে ঠিকই লক্ষ্যে পৌঁছায় তারা। যদিও ফাইনালে শক্তিশালী ভারতের কাছে ৪৫-২৩ পয়েন্টে হেরে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশ নারী দলের। তারপরও এসএ গেমসে মহিলা হ্যান্ডবলের প্রথম আসরেই রৌপ্যপদক জয় বাংলাদেশের বড় অর্জনই বলা যায়। অন্যদিকে পুরুষ দল ২০১০ ঢাকা এসএ গেমসের মতই গৌহাটিতেও ব্রোঞ্জপদক জয় করে। যদিও তারা নারী দলের মতই ফাইনালে খেলার আশা নিয়ে দেশ ছেড়েছিল। তবে এবার নেপাল এসএ গেমস নিয়ে অভিন্ন ভাবনা দু’দলেরই। নেপালে নিজেদের সেরাটা দিয়েই ফাইনাল খেলতে চায় বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী হ্যান্ডবল দল।

আগামী ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারা শহরে অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমসের ১৩তম আসরের খেলা। গেমসের ২৭ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নেবে ২৫টিতে। যেখানে হ্যান্ডবল হচ্ছে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয় প্রত্যাশার অন্যতম এক ডিসিপ্লিন।

নেপাল এসএ গেমসকে সামনে রেখে গত ১৫ জুলাই থেকে অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করে বাংলাদেশ হ্যান্ডবল ফেডারেশন। দীর্ঘ চার মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ শেষে নারী ও পুরুষ দলের ১৬ জন করে ৩২ জন খেলোয়াড় চুড়ান্ত করেছে তারা। নারী দলের প্রধান কোচের দায়িত্বে আছেন নাসিরউল্লাহ লাবলু ও সহকারী কোচ দিদার হোসেন। পুরুষ দলের প্রধান কোচ কামরুল ইসলাম কিরণ। তার সহকারী হিসেবে আছেন কোচ খায়রুজ্জামান।

দেশে চার মাস অনুশীলনের পর বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দল এরই মধ্যে ভারতে গিয়ে বেশ ক’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে। যার অভিজ্ঞতা নেপালে কাজে লাগবে। গত ৩ নভেম্বর ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে ১৫ নভেম্বর দেশে ফিরে দুই দল। ১৩ দিনের সফরে দিল্লি, পাতিয়ালা ও হিমাচলে লাল-সবুজের নারী হ্যান্ডবল দল ৮ এবং পুরুষরা ৭টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে স্থানীয়দের বিপক্ষে।

দলের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট খেলোয়াড়রা। তারা জানান, দলের প্রস্তুতি বেশ ভালো। চার মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তারা এখন মুখিয়ে আছে এসএ গেমসে নিজেদের সেরটা ঢেলে দিতে। গৌহাটির সাফল্য পোখরার ধরে রাখতে চায় তারা। পুরুষ দলের সিনিয়র খেলোয়াড় সোহেল রানা বলেন,‘আমাদের এবারে লক্ষ্য ফাইনালে খেলা। ২০১৬ সালে স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে গৌহাটিতে গেলেও ব্রোঞ্জপদক নিয়েই দেশে ফিরতে হয়ে আমাদেরকে। এবার আগেরবারে চেয়ে প্রস্তুতি ভালো বলে আশাও সর্বোচ্চ। ইনশাল্লাহ, স্বর্ণ জয়ের লক্ষ্যেই নেপাল যাবো আমরা।’ নারী দলের সিনিয়র খেলোয়াড় শিল্পি আক্তার বলেন,‘দীর্ঘ প্রস্তুতি শেষে আমরা এখন অপেক্ষায় আছি নেপালে নিজেদের সেরা খেলা উপহার দিতে। লক্ষ্য অবশ্যই স্বর্ণপদক। গতবার পারিনি, কিন্তু এবার ইনশাল্লাহ জাতিকে নিরাশ করবো না।
যেভাবে অনুশীলন করেছি তাতে আশা করা যায় নেপাল এসএ গেমস হ্যান্ডবলে আমরাই সেরা হবো।’ তিনি যোগ করেন,‘ইতোমধ্যে দিল্লি, পাতিয়ালা ও হিমাচলে আমরা অনেকগুলো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। যার অভিজ্ঞতা নেপালে সাফল্য পেতে কাজে লাগবে।’

এবারের এসএ গেমস হ্যান্ডবলের খেলা পোখারায় আগামী ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে। চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পোখারা ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিল স্টেডিয়ামে পুরুষ ও নারী বিভাগের সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আসরে উভয় বিভাগে ৬টি দেশ অংশ নিচ্ছে। পুরুষ বিভাগে পুল ‘এ’ তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ গতবারের স্বর্ণজয়ী ভারত ও মালদ্বীপ। এই বিভাগের পুল ‘বি’ তে আছে পাকিস্তানা, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। অন্যদিকে নারী বিভাগে পুল ‘বি’ তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল ও শ্রীলঙ্কা। পুল ‘এ’ তে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান ও মালদ্বীপ। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দল। পুরুষ দলের প্রতিপক্ষ ভারত এবং নারীরা খেলবে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে। ৫ ডিসেম্বর পুরুষ দল গ্রæপের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের মোকাবেলা করবে। পরের দিন নারীরা খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ৭ ডিসেম্বর দুই বিভাগের সেমিফাইনাল এবং ৯ ডিসেম্বর তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নির্ধারণী ম্যাচের পর উভয় বিভাগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ