ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী সোহরাবকে বেধড়ক নির্যাতন করে আহত করার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন শেষে মেইন গেটের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতার বেধড়ক মারধরে মারাত্মকভাবে আহত হন ওই শিক্ষার্থী। এতে তার মাথাসহ বাম হাতের দুই জায়গাও ভেঙে গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের ''আমার ভাই আহত কেন প্রশাসন জবাব চাই, শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও,এক দফা এক দাবি বহিষ্কার বহিষ্কার " ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে। এসময় শিক্ষাথীরা কয়েক দফা দাবি ঘোষনা করেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হলো
১. অনতিবিলম্বে নাহিদ, আসিফ সহ যারা হত্যাচেষ্টায় জড়িত ছিলো তাদের গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি এবং স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ২. হলে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হল অনতিবিলম্বে প্রভোস্টের পদত্যাগ করতে হবে। ৩. আহত শিক্ষার্থীর সকল চিকিৎসা খরচ প্রশাসনকে বহন করতে হবে।
এদিকে ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনোরকম সহযোগিতা বা আশ্বাস না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঘটনার শিকার সোহরাব মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এরা দুইজনেই জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী। মারধরের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে সোহরাবসহ ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নাম্বার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে সোহরাবকে নানা রকম কথা জিজ্ঞাসা করে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে তারা দুজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর শুরু করে। তারা সোহরাবের মাথা ও হাতে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে সোহরাব রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠী জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। ডাক্তার জানিয়েছে মাথার তিন জায়গায় সেলাই দেয়া লাগতে পারে। তার মাথা থেকে প্রচন্ড পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। আপাতত এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাবের এক সহপাঠী জানান, গত কয়েকদিন থেকেই আসিক লাক সোহরাবকে নানানভাবে অত্যাচার করে আসছে। দুইদিন আগেও আসিফ লাক সোহরাবকে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পর মেরেছিল। এদিকে মহাসড়ক অবরোধের ফলে রাস্তার দু‘পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হতে দেখো গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।