পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঙালির নিজস্ব সম্পদ বাংলা লোকসংগীতকে সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এবং সারা বিশ্বে লোকসংগীতের গৌরবময় অবস্থান তৈরির লক্ষ্য নিয়ে টানা পঞ্চমবারের মতো ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হলো ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট’। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুরু হওয়া এই উৎসবে গতকাল ছিল শ্রোতাদের উপচেপড়া ভিড়। পুরো আয়োজনটিও ছিল দৃষ্টিনন্দন। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্পীর গাওয়া লোকসংগীতের সুরের মূর্ছনায় শ্রোতাদেরকে মাতোয়ারা করে রাখে। বাউল গানের উচ্ছ্বাসে জমে উঠেছে এবারের ফোক ফেস্ট।
লোকসংগীতে আবেদন কখনোই ফুরিয়ে যায় না। হাজার বছর পরও এসব গানের আবেদন বরং বেড়েই চলেছে। সব বয়সের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় এই ভাটি অঞ্চলের গান। দেশের লোকগান বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া উৎসবের পঞ্চম আসর চলবে আজ শনিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে চলা এই উৎসবে দর্শকরা উপভোগ করবেন দেশ-বিদেশের সেরা লোকসংগীত শিল্পীদের শেকড়সন্ধানী গান।
গতকাল শুক্রবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন বিভিন্ন পরিবেশনায় অংশ নেন বাংলাদেশের মালেক কাওয়াল, ম্যাজিক বাউলিয়ানার কামরুজ্জামান রাব্বি ও শফিকুল ইসলাম। শিল্পী শফিকুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান রাব্বি ২০১৬ সালে সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাউলিয়ানা’ থেকে পরিচিতি পান। শিল্পী শফিকুল ইসলাম অল্প বয়সে গান করে সবার প্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে ‘আমি তো ভালা না ভালা লইয়াই থাইকো’ গানটি গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া শিল্পী কামরুজ্জামান রাব্বি। গতকাল দ্বিতীয় দিন আরও যারা লোকসংগীত গেয়েছে, বাউল ও সুফি গানের শিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন। গায়ক ছাড়াও তিনি একজন গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত গবেষক। গ্রামে গ্রামে ঘুরে পঁয়তাল্লিশ হাজারের মতো বাউল গান সংগ্রহ করেছেন।
আরও থাকছেন কাজল দেওয়ান। তার বাবা প্রখ্যাত বাউল আবদুর রাজ্জাক দেওয়ানের হাত ধরে বাউল গান শুরু করেন বাউলশিল্পী কাজল দেওয়ান। প্রায় ৩০০ অডিও অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার। পালাগান ও লোকসংগীতকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল পাকিস্তানের হিনা নাসরুল্লাহ ও মালির হাবিব কইটে অ্যান্ড বামাদা। হিনা নাসরুল্লাহ তার সুরেলা কণ্ঠের জন্য পরিচিত। কোক স্টুডিওর মাধ্যমে পেয়েছেন ব্যাপক পরিচিতি। মূলত সুফি ঘরানার গান করেন হিনা। উর্দুর পাশাপাশি সিন্ধি ও সারাইকি ভাষায়ও গান করেন তিনি। অন্যদিকে মালির লোকসংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি বলা হয় হাবিব কইটেকে। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তার প্রথম অ্যালবাম মুসো কো বিশ্বব্যাপী সংগীতপ্রেমীদের দৃষ্টি কাড়ে। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি সংগীতাঙ্গন মাতিয়ে রেখেছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি নিজের ব্যান্ড বামাদাকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কনসার্টে গান করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।