নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে বলটি ভেতরে ঢোকে তীক্ষèভাবে। বিরাট কোহলির টেকনিক এমনিতে দারুণ। ডিফেন্স করার চেষ্টায় বল কখনও কখনও পায়ে লাগলেও পেছনের পায়ে লাগে কদাচিৎ, সামনের পায়েই বেশি লাগে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে আবু জায়েদ রাহী ছিলেন সফল। বল লাগে কোহলির পেছনের পায়ে। আম্পায়ার কিন্তু প্রথমে আবেদনে সাড়া দেননি। ভাগ্যিস বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকে রিভিউ নিতে পীড়াপীড়ি করেছিলেন লিটন দাস। আর এতেই ভুল প্রমাণিত হয় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। ড্রেসিং রুমের পথ ধরতে হয় কোহলিকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হলেন কোহলি। এর আগে ২০০৪ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। অর্থাৎ টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে কোনো রান না করেই আউট হলেন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সব সংস্করণেই কোহলির রেকর্ড দুর্দান্ত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ ইনিংস মিলিয়ে এই প্রথমবার আউট হলেন শূন্য রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১২ ওয়ানডেতে কোহলির ব্যাটিং গড় ৭৫.৫৫। সেঞ্চুরি ও ফিফটি ৩টি করে। ৪টি টি-টোয়েন্টিতে গড় ৬৪.৫০। এই ম্যাচের আগে দুটি টেস্ট খেলে ছিল একটি ডাবল সেঞ্চুরি। এবারের শূন্য রানের পরও তাই টেস্টে গড় ৬৪।
কোহলি তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে এ নিয়ে দশমবারের মতো শূন্য রানে আউট হলেন। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় বলে আউট হয়েছেন ৪ বার করে। একবার চতুর্থ বলে এবং আরেকবার ১১তম বলে। ভারতের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির ডাক মারার প্রবণতা একটু বেশিই। টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪০ তম ইনিংসে এসে ১০ম ডাক-এর দেখা পেলেন তিনি। কোহলির সমান সংখ্যকবার শূন্য রানে আউট হতে ধোনির লেগেছে ১৪২ (ইনিংস), টেন্ডুলকারের ১৫২, গু-াপ্পা বিশ্বনাথের ১৫৩, ভিভিএস লক্ষ্মণের ১৫৯, সৌরভ গাঙ্গুলীর ১৬৭ ও সুনীল গাভাস্কারের ১৭২ ইনিংস।
টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং (১৩ বার)। এ সংস্করণে ভারতীয় অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার রান না করে ফিরেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (৯বার)। এরপর মনসুর আলী খান পতৌদি ও কপিল দেব (সমান ৭বার করে) এবং কোহলি (৬বার)। কোহলি এর আগে এক বর্ষপঞ্জিতে কখনো দুটির বেশি ডাক মারেননি। এ বছর এর মধ্যেই দুবার শূন্য রানে আউট হলেন তিনি। এর আগে ২০১১, ২০১৪, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুটি করে ডাক মেরেছেন কোহলি।
কোহলি টেস্টে যে ১০বার ডাক মেরেছেন তার মধ্যে ২০১৭ সাল থেকে ‘বদঅভ্যাস’টি তাঁকে বেশি পেয়ে বসেছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ থেকে হিসেব কষলে শুধু এ সময়েই ৬বার কোনো রান না করেই আউট হয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক। টেস্ট ব্যাটসম্যান র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয়স্থানে থাকা এ তারকা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ইনিংসের শুরুতে তাঁর আরও সাবধান থাকা জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।