মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আকাশের রং জিজ্ঞেস করলে উত্তরে নিশ্চয়ই নীলই বলবেন। আবার রক্ত মানেই লাল। ঠিক একইভাবে মন্দির মানেই তো গেরুয়া! কী? ভুল মনে হল? কেন? ‘রাম রাজ্যে’ তো এমনটা হতেই পারে! তাই না?
এই যেমন ভারতের উত্তরপ্রদেশের মৌদহ গ্রামের মানুষ মন্দির মানে গেরুয়াই বোঝেন। আর তাই গেরুয়া রঙের সুলভ শৌচালয়কেই মন্দির ভেবে যাওয়া-আসার পথে প্রতিদিন প্রণাম করেন।
বিশ্বাস না হওয়ার মতোই ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের ওই গ্রামে গত এক বছর ধরে যা হচ্ছে, তা সত্যিই ভাবনারও অতীত। রাস্তার পাশে একটি ঘর। আর বাইরের দেওয়ালের রং গেরুয়া। দীর্ঘদিন ধরে সেটির দরজায় ঝুলছে তালা। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, রং যখন গেরুয়া, তখন দেওয়ালের ওপারে নিশ্চয়ই কোনও দেবতার বাস। তাই বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে তারা হাতজোড় করে প্রণাম করেন। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে প্রার্থনাও করেন!
স্থানীয় বাসিন্দা রাকেশ চান্দেলের কথায়, ‘এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত ওই ঘর। দেওয়ালে গেরুয়া রং তো বটেই, ঘরের উপরের অংশটিও দেখতে মন্দিরের মতোই।
গ্রামবাসীরা ধরেই নিয়েছেন, এটি মন্দির। ভেতরে কী আছে, জানার চেষ্টা করেনি কেউই। সম্প্রতি এক অফিসার এসে বলেন, এটি আসলে একটি শৌচাগার।’ তিনি এও স্বীকার করেন গেরুয়ার গেরোয় পড়েই যত গন্ডগোল। গ্রামবাসীরা যাতে আর এর দরজার সামনে এসে মাথা নত না করেন, সে জন্য শৌচাগারের রং বদলে গোলাপি করে দেওয়া হয়েছে। যদিও সেটি এখনও তালা বন্ধ।
তবে ওই শৌচাগার একটি নয়। এক রিপোর্ট অনুযায়ী যোগীর রাজ্যে ৩৫০টি শৌচাগারের মধ্যে ১০০টির রংই গেরুয়া। আহা! রংয়ের কী মহিমা! সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।