Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিজয় দিবসের কোনো আয়োজনে কোনো যুদ্ধাপরাধীকে যেন আমন্ত্রণ জানানো না হয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৩৯ পিএম

‘১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি সব ভবনে মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশক্রমে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে যথাযথ নিয়ম মেনে চলতে হবে। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন জায়গায় যারা পতাকা উত্তোলন করেন তারা রঙ মলিন হয়েছে এমন পতাকাও তুলে দেন। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬ ডিসেম্বর যে পতাকা তুলবে তার সঠিক মাপ ও ফ্রেশ রঙ থাকতে হবে। পুরোনো ছিঁড়ে যাওয়া পতাকা কেউ তুলতে পারবে না। বিজয় উদ্যাপনে অনেকে এমনিতেই পতাকা তোলেন, সেটি তুলবেন। কিন্তু তার পরের দিন নিয়ম অনুযায়ী সম্মানের সঙ্গে নামিয়ে রাখবেন।’-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৬ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে অনেক জায়গায় আলোকসজ্জা করা হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসকে মাথায় রেখে ১৪ তারিখ সারাদেশে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না। ১৪ ডিসেম্বর যাতে কোনো আলোকসজ্জা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ১৪ ডিসেম্বরের পর আলোকসজ্জা করা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবসের কোনো অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা যুদ্ধে বিতর্কিতরা অংশ নিতে পারবে না। বুধবার সচিবালয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আসছে বিজয় দিবসের কোনো আয়োজনে কোনো যুদ্ধাপরাধী বা যুদ্ধে বিতর্কিত কাউকে যেন আমন্ত্রণ জানানো না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশিদের জন্য থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা। ঢাকা-সাভার রোডে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে, যাতে কেউ কোনো নাশকতা ঘটাতে না পারে। স্মৃতিসৌধের পুরো জায়গা ক্যামেরার আওতায় থাকবে। ঢাকা থেকে সাভার পর্যন্ত কোনো তোরণ করতে দেওয়া হবে না। মেট্রোপলিটন এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজন অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি আরো জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শোভাযাত্রা করতে চাইলে সাত দিন আগেই স্থানীয় প্রশাসনকে বিস্তারিত জানাতে হবে। ৪১১টি স্থানে ফায়ার সার্ভিস এলার্ট থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে স্মৃতিসৌধসহ গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায়। এছাড়া জেলখানা, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ