নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ১৫০ রানেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের ব্যাটিং দাঁড়াতেই পারেনি ভারতের দারুণ বোলিংয়ের সামনে। কোনো ব্যাটসম্যান করতে পারেননি অর্ধশত। তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও মুমিনুলের ৬৮ রানের জুটি ছাড়া ছিল না আর কোনো ফিফটি জুটি।
শেষ জুটির পতন ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। সেই সময়টিও এসেছে দ্রুতই। ইবাদত হোসেনকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ করে দিয়েছেন উমেশ যাদব।
১০ রানের মধ্যে পড়েছে শেষ ৫ উইকেট। ভারতের চার বোলার ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ৯ উইকেট, রান আউট ১টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৫৮.৩ ওভারে ১৫০ (সাদমান ৬, ইমরুল ৬, মুমিনুল ৩৭, মিঠুন ১৩, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ, ইবাদত ; ইশান্ত ১২-৬-২০-২, উমেশ ১৪.৩-৩-৪৭-২, শামি ১৩-৫-২৭-৩, অশ্বিন ১৬-১-৪৩-২, জাদেজা ৩-০-১০-০)।
শেষ হলো মুশফিকের লড়াইও
তিনবার জীবন পেয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে থামালেন মোহাম্মদ শামি।
অনেকটা ওয়াইড অব দা ক্রিজ বোলিং করেছিলেন শামি। বল পিচ করে ভেতরে ঢোকে। মুশফিক প্রথমে ভেবেছিলেন বল বাইরে যাবে, খেলতে চেয়েছিলেন কাট করার মতো। কিন্তু যতক্ষণে বুঝলেন ভেতরে ঢুকছে বল, ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেক। ব্যাট যখন নামালেন, বল তখন স্টাম্পে!
১০৫ বলে ৪৩ রান করে বোল্ড হলেন মুশফিক। বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৪০।
বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন মুমিনুলও
টানা উইকেট পতনের ভিড়ে কিছুটা লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। দলের বিপদ বাড়িয়ে হঠাৎই ফিরে গেলেন মুমিনুল।
৮০ বলে ৩৭ রান করে বোল্ড হলেন নতুন অধিনায়ক। ভাঙল মুশফিকের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট ৬৮ রানের জুটি।
মুমিনুলের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। তার ব্যাট থেকে আসা সিঙ্গেলে দলের রান স্পর্শ করেছে তিন অঙ্ক।
৩৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১০০। মাত্রই উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে উইকেটে আছেন ৩৪ রান নিয়ে মুশফিক।
মিঠুনকে হারিয়ে বিপদ বাড়ল বাংলাদেশের
শুরু থেকেই ভারতীয় পেসারদের সামনে ধুঁকছে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ইশান্ত শর্মার, উমেষ যাদবের পর এবার শিকারির ভুমিকায় মোহাম্মদ শামি। কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টায় থাকা মোহাম্মদ মিঠুনকে (৩৬ বলে ১২) ফিরিয়ে বিপাদ আরো বাড়িয়েছে সফরকারীদের।
২২ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৭। একপাশ আগলে থাকা অধিনায়ক মুমিনুল হককে (৪৮ বলে ১৮) সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন আরেক অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
ইন্দোরে বাংলাদেশের দুঃস্বপ্নের শুরু
অধিনায়কত্বের শুরুতেই টস ভাগ্য পক্ষে এলো মুমিনুল হকের। বাংলাদেশের এগারোতম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নেমেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ইন্দোরে ব্যাটিংয়ের জন্য শুরুতে বেশ ভালো থাকা উইকেটে টস জিতে প্রত্যাশিতভাবে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন তিনি।
তবে শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। মাত্র ১২ রানেই দুই ওপেনারকে খুইয়েছে সফরকারীরা। ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম দুজনেই ফিরেছেন ৬ রান করে।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩/২।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অষ্টম দল হিসেবে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ। ইন্দোরের হল্কার স্টেডিয়ামের উইকেটে আছে ঘাসের ছোঁয়া। এখানে পেসাররা পেতে পারেন সুবিধা। আবার বল ব্যাটে আসায় ব্যাটসম্যানদের জন্যও আছে রান। সময় গড়ালে এই উইকেট থেকে সুবিধা পাবেন স্পিনাররাও।
টস জেতার পর মুমিনুল বলেছেন, ‘উইকেট শক্ত আছে, তাই প্রথমে ব্যাটিং করছি। যদিও উইকেট চতুর্থ ইনিংসে ভাঙার সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত। খুব অল্প কয়েকজনই এটা করতে পেরেছে।’
বাংলাদেশ খেলতে নামছে সাত বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নিয়ে। সঙ্গে রয়েছেন দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ এবং দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেন।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ভারত দলনেতা বিরাট কোহলি বলেছিলেন, তাদের জন্য হুমকি হতে পারেন মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে থাকা এই বাঁহাতি পেসারকে একাদশেই রাখেনি বাংলাদেশ।
কোহলি আরও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তারা নামতে পারেন তিন পেসার নিয়ে। তার কথার প্রতিফলন ঘটেছে ভারতের একাদশ নির্বাচনে। ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি ও উমেশ যাদবকে নিয়ে মাঠে নামছে স্বাগতিকরা।
২০১৬ সালের অক্টোবরে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় হল্কার স্টেডিয়ামের। ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে অনুমিতভাবেই কিউইদের নাস্তানাবুদ করেছিলেন কোহলিরা, জিতেছিলেন ৩২১ রানের বিশাল ব্যবধানে। এখন পর্যন্ত এই মাঠে ওই একটি টেস্ট ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ একাদশ : ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, ইবাদত হোসেন।
ভারত একাদশ : রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।