Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নারীদের চোখ রুপায়, তবে...

জাহেদ খোকন | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে বাংলাদেশ জাতীয় ব্যাডমিন্টন দলের পুরুষদের ব্রোঞ্জপদক জয়ের আশা থাকলেও নারীদের চোখ রুপায়। আগামী ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমসের ১৩তম আসরের খেলা। দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এই গেমসের ২৭ ডিসিপ্লিনের মধ্যে লাল-সবুজরা খেলবে ২৫টিতে। যার গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাডমিন্টন। এই ডিসিপ্লিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দল অংশ নিবে। যেখানে দু’দলেরই আশা আগের দুই আসরের মতো পদক জয়। এক্ষেত্রে একটু বেশীই প্রত্যাশা করছেন নারী দলের কোচ এনায়েত উল্লাহ খান। তিনি জানান, আসরের নারী ডাবলসে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জপদক পাবে এটা নিশ্চিত। তবে একই গ্রুপে যদি ভারত না থেকে তাহলে প্রত্যাশাটা বেড়ে যাবে। ভারত আমাদের গ্রুপে না থাকলে নারী ডাবলসে রৌপ্যপদক আসার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে পুরুষ দলের কোচ গৌতম চন্দ্র পাল ও মারুফ আলম মনে করেন নেপালে এবার ভালো করবে বাংলাদেশের শাটলাররা। তাদের ধারণা ছেলেদের কনফিডেন্স লেভেল বেড়েছে, খেলায় স্পিড এসেছে। তাই পুরুষ দল ব্রোঞ্জপদক ধরে রাখবে বলে বিশ্বাস দুই কোচের।

২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমস ব্যাডমিন্টনে মালদ্বীপকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক জিতেছিল বাংলাদেশ পুরুষ দল। একই আসরে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জমা পড়ে নারী দলের ঝুলিতে। সর্বশেষ ২০১৬ গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসেও আগের আসরের সেই একই প্রতিপক্ষকে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক দখলে রাখে বাংলাদেশ নারী ও পুরুষ দল। এবারও নেপালে একই পদকের প্রত্যাশা থাকলেও কোচদের মতো গ্রুপিংয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার ও জাতীয় দলের ম্যানেজার কাজী নূর মোহাম্মদ। তাদের ধারণা একই গ্রুপে ভারত না পড়লে বাংলাদেশের ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

নেপাল এসএ গেমসকে সামনে রেখে গত ২৯ জুলাই শুরু হয় জাতীয় ব্যাডমিন্টনের নারী ও পুরুষ দলের ক্যাম্প। তবে ক্যাম্প শুরুর প্রাক্কালে নানা ঘটনায় আলোচনায় থাকে ব্যাডমিন্টন। যদিও শেষ দিকে এসে কিছুটা স্থির হয় ব্যাডমিন্টনের এসএ গেমস ক্যাম্প। তাই সবকিছু ভুলে এখন পদকের জন্য লড়তে প্রস্তুত শাটলাররা। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাহার বলেন, ‘এসএ গেমস ক্যাম্পের প্রথম দিকে খেলোয়াড়দের নিয়ে রাজনীতি হয়েছে। যা মোটেও ঠিক হয়নি। ক্যাম্পে অস্থিরতা ছিল বেশ কিছুদিন। ষড়যন্ত্রকারী খেলোয়াড়দের বাদ দেয়ার পর সবাই ক্যাম্পে মনোযোগি হয়। ছেলেদের দল ঠিক থাকলেও যে আশায় মহিলাদের কোচ নিয়োগ দেয়া হয়েছিল- তা শতভাগ পুলণ হয়নি। তারপরও ব্রোঞ্জপদক ধরে রাখার প্রত্যাশা আমার।’

নারী দলের কোচ এনায়েত বলেন, ‘ক্যাম্পের শুরুতে যে পরিস্থিতি ছিল তাতে শাটলারদের মানসিকতায় প্রভাব পড়েছে। তিনমাসের ক্যাম্পে যারা রাইজিং শাটলার (বৃষ্টি, রেহানা, উর্মি, দুলালী) আছে তাদের উন্নতি হয়েছে। সিনিয়র দুই খেলোয়াড় শাপলা ও এলিনা গেমসের এককে ভালো করতে পারবে না। কারণ এলিনা একটা চাকরি করায় একবেলা অনুশীলন করতে পেরেছে আর শাপলা অনুশীলনে তেমন মনযোগী ছিল না। তাদের আর একটু পুশ করা উচিত ছিল। তবে ডাবলসে পদক জয়ের সম্ভবনা রয়েছে মেয়েদের। একই গ্রæপে যদি ভারত না থেকে যদি নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান কিংবা ভুটান থাকে তাহলে রৌপ্যপদক পাবে বাংলাদেশ নারী দল-এটা বলতে পারি।’
পুরুষ দলের কোচ গৌতম ও মারুফ বলেন, ‘নেপালে দল ভালো করবে এই বিশ্বাস আছে। ছেলেদের কনফিডেন্স লেভেল বেড়েছে, স্পিডও এসেছে। শারীরিক সক্ষমতা, টেকনিক, ট্যাকটিস বেড়েছে। ক্যাম্পে অস্থিরতার সময়টা বাদ দিলে যার যার অবস্থানগত দিক দিয়ে উন্নতী করেছে। ভারতের বিপরীত গ্রুপে পড়লে আমরা বেশী ভালো করবো। মালদ্বীপে গিয়ে গৌরব কিছুটা ইনজুরিতে পড়লেও এখন সে ঠিক আছে। আমাদের লক্ষ্য ব্রোঞ্জ ধরে রাখা।’ জাতীয় দলের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদের কথায়, ‘ সানরাইজ-ইউনেক্স ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জে খেলতে বর্তমানে নেপাল অবস্থান করছে ক্যাম্পের আট শাটলার। সেখানে তারা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে। আমাদের ধারণা এসএ গেমসে কোর্টে নামার আগে নিজেদের ঝালাইয়ের একটা সুযোগ পেয়েছে খেলোয়াড়রা। আশা করছি ব্রোঞ্জপদক ধরে রাখতে পারবো। ভারতের গ্রুপে না পড়লে রৌপ্য আসারও সম্ভাবনা আছে আমাদের।’
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন দল : সালমান, গৌরব, সিবগাত, শুভ, তুষার, লোকমান, শাপলা, এলিনা, বৃষ্টি, রেহানা, উর্মি, দুলালী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ