বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যখন বড় মেয়ে লাবনী (২০) দশম শ্রেণীতে পড়ত, তখন এলাকার বখাটেরা তাকে উত্যক্ত করত। বড় মেয়ে বাসায় এসে মায়ের কাছে কান্নাকাটি করত। এভাবে অনেক দিন চলার পর মেয়ের নালিশ সইতে নারে মাধ্যমিক পাসের পর ঢাকার রয়েল নার্সিং হোমে ভর্তি করিয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়ে লামিয়া সপ্তম শ্রেণীতে ওঠার পরই বখাটেদের হাতে ইভটিজিংয়ের স্বীকার হত। এছাড়া এলাকার বখাটে জাফর, মিলন প্রায়ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। কিন্তু লামিয়া তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শুরু হয় তৃতীয় মেয়ে আছিয়া আক্তার দোলার উপর ইভটিজিং। বর্তমানে ছোট মেয়ে হালিমাকে (৩) নিয়ে শংকায় তাদের পরিবার। মেয়ে হয়ে জন্মানোটাই কি অপরাধ? বলেই সাংবাদিকদের সামনে অঝোড়ে কেদে দেন চার সন্তানের মা ঝর্না বেগম।
ঝর্না বেগম বলেন, প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে তৃতীয় মেয়ে আছিয়া অঝোড়ে কাদতেন এবং ইভটিজিংয়ে কথা জানাতেন। শেষ মেষ গত সোমবার ইভটিজারদের অত্যাচার সইতে না পেরে অভিমানে রয়েল ক্রুজ-২ লঞ্চে অজানা উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়েন উপজেলার মর্নিং স্টার প্রি-ক্যাডেট স্কুলের চতুর্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আছিয়া। অনেক খোজাখুজির পর তাকে না পেলে লঞ্চ থেকে একজন আছিয়ার বাবা উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সেলিম মিয়াকে ফোন করলে তার হদিস পান। পরে লঞ্চের যাত্রী কলাপাড়া পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম ও আওয়ামীগ নেতা কালাম সরদার তাদের ফেসবুক আইডির মাধ্যমে দুটি ভিডিও আপলোড দেন। বিষয়টি সাথে সাথে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে ইভটিজিংয়ের কথা জানান আছিয়া। তাকে প্রায়ই জোর পূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় স্থানীয় বখাটে জাফর, শাকিল, শাশীম, স্বরনসহ আরো ৫/৭ জন। সর্বশেষে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আগের দিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়। সেদিন ঘরে ফিরেই সিদ্ধান্ত নেন বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন। সে মোতাবেক সবাইকে না জানিয়ে রয়েল ক্রুম লঞ্চে অজানা উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়েন।
আছিয়ার বাবা সেলিম জানান, বখাটেদের ব্যাপারে তাদরে পরিবারের কাছে নালিশ করলেও ফলপ্রসু হয়নি। উল্টো হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, তার মেয়ের বিষয়টি ফেসবুকে কে প্রকাশ করেছে তা তিনি যানেনা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সকালে বাড়িতে গিয়ে তার ছোট ভাই মজিবরকে হুমকি প্রদান করেন শাকিলসহ আরো চার পাচ জন।
এবিষয়ে জাফর, শাশীম, স্বরনসহ একাধিকবার মুডো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। তবে শাকিল জানান, এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলেন তিনি। এছাড়া লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।