Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঝিনাইগাতীতে ভোজ্যতেলে তেলেসমাতি লিটারে ক্রেতাকে অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে ১৮ টাকা

প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এস.কে সাত্তার, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) থেকে
এই রমজানেও বোতলজাত ভোজ্যতেল নিয়ে চলছে অভিনব কায়দায় তেলেসমাতি। এক লিটার তেলে ক্রেতাকে অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে কমপক্ষে সতেরো-আঠারো টাকা। অর্থাৎ বোতলজাত এই পরিশুদ্ধ তেল কিনতে ক্রেতাকে মূল্য দিতে হচ্ছে বেশি আর ওজনে নিতে হচ্ছে কম। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের নেই এদিকে কোনো দৃষ্টি। ফলে জনগণ হয়ে পড়েছে বড়ই অসহায়! অপরদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমলেও স্থানীয় বাজারে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত ভোজ্যতেল। এভাবে ক্রেতা ঠকানো হলেও নেই কোনো প্রতিকার। বাজারে খোলা এক কেজি সয়াবিন তেল ১২০ থেকে ১২২ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এতে কোনো ক্রেতা যদি ৫ কেজি খোলা সয়াবিন তেল কেনেন তবে বোতলজাত সয়াবিনের চেয়ে সাশ্রয় হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা। পাশাপাশি ওজনেও লিটারে কমপক্ষে ৫০০ গ্রাম বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সরকারিভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটারের দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হলেও বাজারে বোতলজাত কোনো সয়াবিনই পাওয়া যাচ্ছে না ১২৫ টাকায়। দাম আদায় করা হচ্ছে সাত থেকে দশ টাকা বেশি দামে। জানা যায়, বোতলজাত তেল ওজনেও কম দেয়া হচ্ছে। যাতে থাকছে খুব বেশি হলে ৯১৫ গ্রাম। বিভিন্ন কোম্পানি এ পরিমাণ তেলই বিক্রি করছে ১৩৫-১৩৭ টাকায়। ক’জন ক্রেতা মন্তব্য করেন যে, একই তেল শুধুমাত্র বোতলজাত করার জন্য কোম্পানিগুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে। অপরদিকে, ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে চলছে ক্রেতা ঠকানো ব্যবসার মহোৎসব। এসব হাট-বাজারে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতাসাধারণ। প্রতিবাদ করে লাভ নেই এমন মন্তব্য ভোক্তা সাধারণের। বলে প্রতিবাদও করছে না কেউ। অনেকটা নীরবেই মেনে নিচ্ছে এই প্রতারণা বা ওজনে কারচুপিকে। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, যে কোনো পণ্যে মাপে কম দেয়া যেন এখন অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। খুচরা বাজারের প্রায় সব বিক্রেতার বাটখারাতেই কেজিতে ৫০ গ্রাম কম। ক্ষেত্র বিশেষ আরো কম। মাছ-মাংসের বাজারতো মাপে কম দেয়া হচ্ছে অনেকটা ম্যাজিকের ন্যায়। মাছের পাল্লায় ৫০ থেকে ১০০ গ্র্রাম পানি রেখেই মেপে দেয়া হচ্ছে মাছ। বেশির ভাগ দোকানে বেচাকেনা চলছে এখনো সেই মান্ধাতা আমলের কাঠের বাটখাড়ায়। তেল ও দুধ মাপার পাত্র থেকে শুরু করে ফাঁকি দেয়া হচ্ছে দাঁড়িপাল্লাতেও। কালেভদ্রে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কিছু কিছু জরিমানা করা হলেও চলে যাবার পরই আবারো শুরু হয় ক্রেতা ঠকানোর এই ব্যবসা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঝিনাইগাতীতে ভোজ্যতেলে তেলেসমাতি লিটারে ক্রেতাকে অতিরিক্ত গুণতে হচ্ছে ১৮ টাকা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ