Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদেশি অধ্যাপকদের মুক্তি দেবে তালেবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

অবশেষে বন্দী বিনিময় চুক্তি করতে একমত হয়েছে আফগান সরকার এবং তালেবান। ফলে তালেবানদের হাতে বন্দী আমেরিকান এবং অস্ট্রেলিয়ান দুই অধ্যাপক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। তাদেরকে প্রায় তিন বছর আগে অপহরণ করা হয়েছিল। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা গতকাল মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর বদলে সরকার হাক্কানি নেটওয়ারর্কের প্রধান সিরাউদ্দিন হাক্কানির ছোট ভাই আনাস হাক্কানিসহ তালেবানদের তিন জ্যেষ্ঠ নেতাকে মুক্তি দেবে বলে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

চুক্তির বিষয়ে সরকার এবং তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন, বন্দী বিনিময় হলে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় চালু করার পক্ষে একটি বড় পদক্ষেপ হবে। কিছু আফগান কর্মকর্তা আশা করছেন, এই মুক্তির ফলে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতিতে তালেবানদের রাজি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। গতকাল জাতীয় টেলিভিশন দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ঘানি বলেছেন, ‘সরাসরি শান্তির আলোচনার সুবিধার্থে’ এই বিনিময় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমপক্ষে এক মাস যুদ্ধবিরতি পালন না করলে তালেবানদের সাথে আলোচনায় অংশ নেবে না বলে গত অক্টোবরে ঘোষণা দিয়েছিল আফগান সরকার। তালেবানরাও সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।

যে দুই অধ্যাপক মুক্তি পেতে যাচ্ছেন তারা হলেন, মার্কিন নাগরিক কেভিন সি কিং (৬৩) ও অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক টিমোথি জে উইকস (৫০)। তারা দুজনেই আফগানিস্তানের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। আফগান-বংশোদ্ভ‚ত মার্কিন ক‚টনীতিক জালমে খলিলজাদও একসময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ডে কর্মরত ছিলেন। আফগানিস্তানে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি দুই অধ্যাপকের মুক্তির জন্য নিবিড় প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ঘানি ২০১৬ সালে কাবুলে অপহৃত হওয়া দুই অধ্যাপকের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করেননি, শুধু জানিয়েছেন, আটক থাকার কারণে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তবে তালেবানরা যদি দুই প্রফেসরের বেঁচে থাকার প্রমাণ না দিতে না পারে এবং তাদের মুক্তি দিতে রাজি না হয়, তাহলে তালেবান বন্দীদেরকে মুক্তি দেয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, এটি ছিল ‘কঠিন কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ’ সিদ্ধান্ত। তার প্রশাসন তালেবানদের কাছে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, যে কোনও চলমান আলোচনার মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া উচিত আন্তরিক বিশ্বাসের প্রদর্শন হিসাবে, যেহেতু উভয় পক্ষই ১৮ বছরের পুরানো বিরোধের কমপক্ষে একটি অধ্যায় শেষ করতে চাইছে। তিনি আরও জানান, আনাস হাক্কানী ছাড়াও সরকার তালেবান কমান্ডার হাফিজ রশীদকে মুক্তি দেবে, যিনি আত্মঘাতি হামলাকারীদের বোমায় সজ্জিত করতেন, তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতেন এবং পাকিস্তান থেকে তাদের নিরাপদে সীমান্ত পার করিয়ে আফগানিস্তানে নিয়ে আসতেন। তার ভাই কাতারের দোহায় শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করা তালেবান দলের সদস্য ছিল। ২০১৪ সালে হাক্কানির সাথেই রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার তালিকায় থাকা তৃতীয় তালেবান সদস্য হচ্ছেন সিনিয়র কমান্ডার এবং তালেবানদের উপ নেতার চাচা হাজী মালি খান। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ