নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ডে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের চারটি ম্যাচই নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। ম্যাচে ফল না হওয়ায় শিরোপার অনেকটাই কাছে চলে এসছে খুলনা বিভাগ। পঞ্চম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে তারা। শেষ ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ড্র করলেই নিশ্চিত হবে তাদের শিরোপা। তবে সুযোগ থাকছে ঢাকাও। শেষ রাউন্ডে খুলনাকে হারাতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। এই দিনে নজর কেড়েছেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব। দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে করেছেন ১৬৩ রান। আগের দিন সেঞ্চুরি তোলা নাসির হোসেনও ১৬১ রানে অপরাজিত থেকেছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের ফরহাদ রেজা পেয়েছেন ৬টি উইকেট।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৫৪ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ফরহাদ রেজার তোপে ২০১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। নাহিদুল ইসলামের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ৪৮ রানের খরচায় ফরহাদ পান ৬টি উইকেট। ৫০ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রাজশাহী। ৫ উইকেটে ৯৮ রান তোলার পর দুই দলই ড্র মেনে নেয়।
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগের দিন রংপুর বিভাগ ৫ উইকেটে ২০০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে আর ৭১ যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে। নাসির হোসেন ১৬১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩০৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৬ রান করার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয় খেলাটি।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে আগের দিন ঢাকা মেট্রো ৪ উইকেটে ২৪৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে। পরে ৬ উইকেটে ৩৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দলটি। মার্শাল আইয়ুব ১৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে সিলেট। এরপর দুই দল ড্র মেনে নিলে নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টা খানেক আগেই ম্যাচটি শেষ হয়।
বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আগের তিন দিন খেলা না হলেও চতুর্থ দিনে মাঠে বল গড়িয়েছে। যদিও ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিতই ছিল। বরিশাল প্রুথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ৭০ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে। পরে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান করে চট্টগ্রাম বিভাগ। এরপর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী-খুলনা, মিরপুর
রাজশাহী : ৫০.৪ ওভারে ১৫১ ও ২য় ইনিংস : ৩০.২ ওভারে ৯৮/৫ (অভিষেক ৩৩*, ফরহাদ হোসেন ২৮, সাব্বির ২৫; রুবেল ০/৩১, হালিম ২/৩৫, রাজ্জাক ২/২৩, নাহিদুল ১/৯)। খুলনা ১ম ইনিংস : ৭৩.১ ওভারে ২০১ (অমিত ৫৯, তুষার ৫৮, নাহিদুল ৩৩; ফরহাদ রেজা ৬/৪৮, মোহর ২/৪০, মুক্তার ২/৪০)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা : রুবেল হোসেন (খুলনা)।
ঢাকা-রংপুর, বগুড়া
রংপুর : ২৩৪ ও ২য় ইনিংস : ৯৯ ওভারে ২৭১/৯ (ডিক্লে.) (মারুফ ১৭, নাসির ১৬১*, আরিফুল ৩০, নাঈম ৩২; শাহাদত ২/২৪, সালাউদ্দিন ২/৬৮, অপু ১/৬০, সানি জুনিয়র ২/৩৬, তাইবুর ২/২৭)। ঢাকা ১ম ইনিংস : ২২২ ও ২য় ইনিংস : ১৭৬/৪ (মজিদ ১৯, সানি জুনি. ৩৬, রকিবুল ৮০*, তাইবুর ২৪; মুকিদুল ১/৩২, আলাউদ্দিন ১/২০, রিশাদ ১/৩৮, নাসির ১/১০)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা : নাসির হোসেন (রংপুর)।
সিলেট-ঢাকা মেট্রো, রাজশাহী
ঢাকা মেট্রো : ৩১১/৮ (ডিক্লে.) ও ২য় ইনিংস : ১০১ ওভারে ৩৯৫/৬ (ডিক্লে.) (আজমির ৮০, শামসুর ৩৭, মার্শাল ১৬৩, জাবিদ ৩০, শরিফুল্লাহ ২১, শহিদুল ২১; রেজাউর ১/৬৮, নাসুম ১/৮৭, এনামুল জুনিয়র ২/১১৪, অলক ২/৫৯)।
সিলেট : ৩৫১ ও ২য় ইনিংস : ১৫.৩ ওভারে ৬০/১ (তৌফিক ৪৩; তাসকিন ১/২২, মানিক ২/২২)। ফল : ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা : আমিত হাসান (সিলেট)।
বরিশাল-চট্টগ্রাম, বরিশাল
বরিশাল ১ম ইনিংস : ১৩ ওভারে ৭০/৩ (ডিক্লে.) (আশরাফুল ২, গাজী ৪৪, নাঈম ২১*; ইরফান ২/১৩, নোমান ১/১২)। চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ৬ ওভারে ৪৫/০ (পিনাক ৩০; রাব্বি ০/৯, গাজী ০/১৭)। ফল : ম্যাচ ড্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।