Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভয়াবহ যত ট্রেন দুর্ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সড়কপথে দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আর সবচেয়ে নিরাপদ বলতেই দেশে বেছে নেয়া হয় রেলপথকেই। তবে সামান্য ভুলে কখনো কখনো ট্রেনেও বড় দুর্ঘটনা ঘটে। কখনো লাইনচ্যুত হয়ে বা দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ ধরনের দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। নিহত ও আহত হচ্ছেন শত শত মানুষ। দেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি গাজীপুরের টঙ্গীতে। ওই দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত হন, আহত হন আরও ৪০০ যাত্রী। তবে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে সবমিলিয়ে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে ১১টি। নিচে এমনই কিছু দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরা হলো

পূর্বাঞ্চল : ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি পূর্বাঞ্চলে ঘটে রেলপথে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা । টঙ্গীর কাছে মাজুখানে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৭০ জন যাত্রী নিহত হন, আহত হন আরও ৪০০ জন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কাছাকাছি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৩ জন নিহত হন ও ২০০ জন আহত হন।
এরপরে ২০১০ সালে চট্টগ্রামগামী আন্তনগর ‘মহানগর গোধ‚লি’ ও ঢাকাগামী মেইল ‘চট্টলা’ ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুটি ট্রেনের ইঞ্জিন দুমড়ে-মুচড়ে যায়। চট্টলা ট্রেনের একটি বগি মহানগর ট্রেনের ইঞ্জিনের উপর উঠে যায়। সেই দুর্ঘটনায় চালকসহ মোট ১২ জন নিহত হন। আট বছর পর ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় ঢাকা ও জয়দেবপুর রেললাইনে কমিউটার ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ৫ জন নিহত হন। এতে আহত হয় প্রায় অর্ধশতাধিক।

এছাড়া চলতি বছরের ২৩ জুন মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। উপজেলার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেসের ৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে ছিটকে পড়ে। এ ঘটনায় ৬ জন নিহত হন।

সর্বশেষ গত সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে ত‚র্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে ঘটা মুখোমুখি সংঘর্ষটি আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার তালিকাভুক্ত হলো। এ দুর্ঘটনায় এপর্যন্ত ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ১০০ জন।

পশ্চিমাঞ্চল : পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুঘটনা ঘটে ১৯৮৩ সালের ২২ মার্চ ঈশ্বরদীতে। সেতু দিয়ে চলার সময় ভেঙে পড়ে ৬০ জন যাত্রী নিহত হন। এরপরে ১৯৮৫ সালের ১৩ জানুয়ারি খুলনা থেকে পার্বতীপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসের কোচে আগুন ধরে নিহত হন ২৭ এবং আহত হন ২৭ জন যাত্রী। ১৯৮৬ সালের ১৫ মার্চ সর্বহারার নাশকতায় ভেড়ামারার কাছে ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং নদীতে পড়ে যায়। এতে ২৫ জন যাত্রী নিহত হন এবং ৪৫ জন আহত হন।

এছাড়া ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি রাত সোয়া ৯টায় গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি হিলি রেলস্টেশনের ১ নম্বর লাইনে এসে দাঁড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর সৈয়দপুর থেকে খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি একই লাইনে ঢুকে পড়ে। এ সময় ভয়াবহ মুখোমুখি সংঘর্ষে গোয়ালন্দ লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি আন্তনগর ট্রেনের উপর উঠে যায়। এতে দুটি ট্রেনের অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ