পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থাকছেন না মশিউর রহমান রাঙ্গা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করার জন্য তাকে পদ হারাতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। ১০ নভেম্বর ‘গণতন্ত্র দিবস’ নূর হোসেনকে নিয়ে বক্তব্যের সময় রাঙ্গা বন্ধুবন্ধুকে নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের জন্য অনেক কিছু করলেও তিনিই প্রথম গণতন্ত্রের বুকে শেষ পেরেকটি মেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যেদিন বাকশাল গঠন করেন, সেদিন তিনি কয়েকটি বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেন। সেদিনই আসলে গণতন্ত্রের বুকের শেষ পেরেক ঠুকে দেন বঙ্গবন্ধু’। তার এই বক্তব্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল ভালভাবে নেয়নি। এমনকি জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যেও এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। দলটির একাধিক নেতা জানান, জাপার মহাসচিব বদ পদ থেকে রাঙ্গার বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা তোফায়েল আহমদ জাতীয় সংসদে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে প্রকাশে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। ১৪ দলীয় জোটের নেতারাও রাঙ্গার বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাকে কুলাঙ্গার হিসেবে অবিহিত করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
রাঙ্গার বক্তব্য নিয়ে দলের ভিতরেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বনানীর দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় জাতীয় পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয় বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মশিউর রহমান রাঙ্গার কুরুচিকর বক্তব্যে দেশবাসীর সাথে আমরাও বিস্ময় প্রকাশ করছি। যার কারণে বাঙ্গালী জাতি একটি স্বাধীন পতাকা পেয়েছে সে ব্যক্তি নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য অমার্জনীয় অপরাধ। জয় আরো বলেন, ভিন্ন দল থেকে আসা রাঙ্গা সাহেব কোনো অসৎ উদ্দেশের এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টিকে জনসম্মুখে হেয়প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের যেখানে প্রতি বছর ১৫ আগষ্ট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন সেখানে রাঙ্গা সাহেবের এমন বক্তব্য জাতিকে হতবাক করেছে।
উল্লেখ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ইচ্ছায় রুহুল আমিন হাওলাদারকে বাদ দিয়ে মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব করেন এরশাদ। অতপর তিনি চিকিৎসার জন্য সিংগাপুর যান। এখানের উল্লেখ করা প্রয়োজন যে এক সময়ের জাকের পার্টির রংপুরের স্থানীয় নেতা থেকে বিএনপিতে যোগদান করেন। অতপর ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন রাঙ্গা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।