Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রায়ের আগে অযোধ্যায় ১৪৪ ধারা জারি, প্রস্তুত ৮ অস্থায়ী জেল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারতের বাবরি মসজিদ বা রাম জন্মভ‚মি নিয়ে করা অযোধ্যা মামলার রায়ের আগে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে অযোধ্যায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। আগামী সপ্তাহেই সম্ভবত সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করবে। কেননা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ১৭ নভেম্বর অবসর নেবেন। তার আগেই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করা হবে।

রায়-পরবর্তী অবস্থার জন্য এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে সেখানকার প্রশাসন। উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগর জেলার আকবরপুর, তান্ডা, জালালপুর, জৈতপুর, ভিটি এবং আল্লাপুরের স্কুল কলেজে আটটি অস্থায়ী জেল তৈরি করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ যেন এইসব জেলের স্টেশন ইনচার্জদের সহযোগিতা করে।

এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সতর্ক করে রাজ্যের সব ধরনের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে বলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সঙ্গে জঙ্গি হামলার ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে অযোধ্যাকে। কেন্দ্রের তরফে অযোধ্যায় ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৩ কোম্পানি সিআরপিএফ, ৬ কোম্পানি আইটিবিপি, সিআইএসএফ, এসএসবি এবং আরএএফ। ১৩ কোম্পানি সিআরপিএফ এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে অযোধ্যায়। বাকি বাহিনী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই পৌঁছে যাবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিবের। অযোধ্যা মামলার রায় দেওয়ার আগে উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও রায়-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা হবার কথা ছিল এই বৈঠকে।
এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশজুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রাজ্যে আটটি অস্থায়ী জেল তৈরি রাখা হয়েছে। তবে পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে এই অস্থায়ী জেলের সংখ্যা বাড়িয়ে পরবর্তী সময়ে ২০টি করা হতে পারে বলেও জানা গেছে। মোঁট ৭৮টি স্থানে মোতায়েন থাকবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।

এ ছাড়া অযোধ্যার আকাশে টহল দেবে দুটি হেলিকপ্টার। সংবেদনশীল এই মামলার রায়ের পর যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য গত ৩০ অক্টোবর নির্দেশিকা জারি করেন অযোধ্যার জেলা শাসক। ওই নির্দেশিকায় সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বজায় রাখার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়।



 

Show all comments
  • Saiful Sany ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 1
    রায় যেটাই আসুক মুসলিম ভাইদের এ রায় নিয়ে ধৈর্য্যধারন করা দুনিয়ার রায় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করা উত্তম শেষ বিচারে একদিন মুসলমানদের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ( আল্লাহ মহান আল্লাহ সর্বশেষ্ঠ তিনিই উত্তম বিচারক)
    Total Reply(0) Reply
  • Tapu Talukdar ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 1
    বিচার কোন এক পক্ষে যাবে কিংবা ভাগাভাগি হলে দুই পক্ষেরই মানা সম্ভব নয়। তাই গনভোটের মাধ্যমে মসজিদ না মন্দির হবে তা ঠিক করা উচিৎ। অথবা ইউনেস্ক এর তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের ঠিক করা উচিৎ এটা মন্দির না মসজিদ
    Total Reply(0) Reply
  • AhkamulHaque Tipu ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    রায় যে কি হবে সেটা আগে থেকেই অনুমান করা যাচ্ছে যে দেশে মানুষের জীবনের চেয়ে পশুর জীবনের মূল্য কে প্রাধান্য দিয়ে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করতে পারে সেখানে আর কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা।তবে আমরা আশা করব যেন সঠিক রায়টিই হয় আর প্রকৃত হোকদাররা তাঁদের সম্পদ ফিরে পাক।
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiqul Alam ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    মহাভারতে মসজিদ-মন্দিরের জায়গার কি এতই অভাব হয়েছে যে মসজিদ-মন্দির বিতর্ক নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জীবন দিলেন, হাজার হাজার মানুষ ক্ষতবিক্ষত হয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুহারা হলেন। অথচ এই মানুষের উপাসনার জন্যই মসজিদ-মন্দির। কাকে সন্তুষ্ট করতে মানুষ হত্যা করে, মনুষ্যত্বকে পদদলিত করে উপাসনালয় নির্মাণ করা হবে- সে কথা ভেবে দেখবে কে? জয় হোক সত্যের, জয় হোক মানবতার।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Kaium Zahed ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    রায় যে সম্পূর্ণ একতরফা হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে স্বার্থহাসিলের জন্য এই একতরফা রায়ের ফলে দাঙ্গায় কতশত তাজা প্রাণ যে ঝরে যাবে এ ভেবে কষ্ট হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullahil Maruf Siddique ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    এটা স্পর্শকাতর বিষয়,সমানভাবে ভাগ করে দেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ,যদিও তা কেউ মানবে না,তবুও দাঙ্গা,রক্তপাত,এড়ানো যাবে,কিন্তু রায় যদি একপক্ষে যায় দাঙ্গা ও রক্তপাত অবশ্যম্ভাবী।ভারতের ঠেকানোর ক্ষমতা থাকবে না,প্রতিবেশী দেশগুলোতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে,সীমান্ত অস্থির হবে,গোলাগুলির অতীত রেকর্ড ভঙ্গ হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Shahabul Alam Sarder ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    মোদি এবং তার অনুসারীরা কঠোর হিন্দুত্ব বাদে বিশ্বাসী এবং কুসংস্কারে ভরপুর। রায় কোনটা হবে সেটা অনুমান করা যাচ্ছে। তবে সঠিক রায়টা হলে সবাই খুশী হবে! যাদের কাছে মানুষের জীবনের চেয়ে পশুর জীবনের মুল্য বেশী তাদের কাছে ন্যায় বিচার চাওয়া কতটুকু যুক্তিসম্মত!
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Firoj ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    বিজেপির মত একটা কট্টরপন্থী দল যখন ক্ষমতায় তখন সেখানে কি রায় আসবে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Khokon Chowdhury Madarsha ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    রায়ে কি আসবে জানিনা। তবু ইন্ডিয়ান আদালতের প্রতি কিছু আস্থা মানুষের অবশিষ্ট আছে। বিভক্ত রায় দিয়ে যথেষ্ট অন্যায় করা হবে। মুসলিদের প্রতি ধৈর্য্য ধারনের ও সংযমী হওয়ার অনুরোধ করছি। জোর যার মুল্লুক তার নীতির প্রতি নজর রেখে সংযমী হোন।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Rakel ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    ইতিহাস যেখানে বলছে,মোঘল আমলে নির্মাণ হয় এই "বাবরি" মসজিদ, তা ইংরেজ আমলের অনেক অনেক আগ,আর ইংরেজ আমলে হিন্দুরা সেখানে কৌশলে মূর্তি প্রবেশ করিয়ে ইচ্ছে করে এই বিতর্কের সৃষ্টি করে, আর তাদের সরকারও অন্যায়ভাবে তাদের পূজার অনুমতি দেয়! যদি অসাম্প্রদায়িক ও ন্যায় বিচার করা হয় তবে তা মুসলমানদের পক্ষে যাওয়ার কথা ১০০%। তবে অসাম্প্রদায়িক, ঢোল বাজানো " ভারতের " সেই রায় শুনার অপেক্ষায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf Hossain ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম says : 0
    করিমগঞ্জ নামে শুনে যদি বিজেপি মুসলিমদের গন্ধ পায় তাহলে বাবরি মসজিদের যায়গায় আম মুন্দির হবে এটাই স্বাভাবিক। শনিবার অপেক্ষার দরকার নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আককাছ আলি মোল্লা ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
    পাগলামো করোনা মদি!বড়মাশুল গুনতে হবে।এটা আল্লাহর ঘর।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৯ নভেম্বর, ২০১৯, ৬:৫১ এএম says : 0
    বাবরি মসজিদ তো ছিলোই ওরা কি অন্দ্ব যে মসজিদ ভাংতে দেখে নাই।? দেখেন মূরশিদাবাদ কাটরা মসজিদের উয়ালেও এই হিন্দু কাফেররা মূর্তিসহ একটি ইট লাগিয়ে বলিতেছে যে কাটরা মসজিদ ও মন্দির ছিলো। এই হিন্দু বেঈমানদের উপর এবং বারমার বৌদ্ধ কাফেরদের উপর আল্লাহ তা'আলার গজব পরিতে দেরী হইবে না এবার। ইনশাআল্লাহ। আমার অবাক লাগে যে বিশ্ব নীরব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ