নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইসলাম ধর্ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জানার চেস্টা করেছেন ফরাসি কিংবদন্তী ফুটবলার প্যাট্রিস এভরা। অবশেষে ইসলাম সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এই তারকা ফুটবলার বলেন, ‘ইসলাম সত্যিকার অর্থে একটি সুন্দর ধর্ম। এটি শান্তির বার্তা দেয়। এ ধর্ম একে অন্যকে সাহায্য-সহযোগিতার কথা বলে।’
খোলামেলা সেই সাক্ষাতকারটি ইতমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে নেট দুনিয়ায়। এভরা বলেছেন, ‘ইসলাম থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। এখন বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের জন্য এ ধর্মকে দোষারোপ করা হচ্ছে। সেই ক্ষণে আমি বলতে চাই- ইসলাম শান্তির ধর্ম।’
ইসলামের প্রশংসা করায় ইতিপূর্বে বাবার কাছে বকা খেয়েছেন এবং পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করেও তিনি ইসলামের দৃঢ় বিশ্বাস আঁকড়ে রাখতে চান, ‘বাবার কাছে ইসলাম গ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করায় বকা খেয়েছি। একপর্যায়ে বাবা জানতে পারেন, আমি ইসলামের প্রশংসা করছি। পরিপ্রেক্ষিতে উনি আমার ওপর রেগে যান এবং আমাকে বকাঝকা করেন। কারণ একটাই- আমার বাবা একজন ক্যাথলিক। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, ইসলাম আমার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। আমার বাবা-মা ও বন্ধু-বান্ধবদের আপত্তি উপেক্ষা করে এ বিশ্বাসে দৃঢ় থাকতে পারব বলে আমি মনে করি।’
সারাবিশ্বে ইসলাম বিরোধী প্রপাগান্ডা ছড়ালেও তিনি মনে করেন ইসলাম বর্ণবাদে বিশ্বাসী নয়, ‘বর্ণবাদ বিদ্বেষের উত্থানের পেছনে ইসলামের কোনো ভূমিকা নেই। এ ধর্ম বর্ণবাদে বিশ্বাস করে না। যারা বর্ণবাদের কথা বলে, বিশ্বব্যাপী ঘৃণা ছড়ায়, আমিও ব্যক্তিগতভাবে তাদের ঘৃণা করি।’
এভরা এবারই প্রথম ইসলামের প্রশংসা করলেন না। ২০১৭ সালেও এ নিয়ে বিস্তর কথা বলেন তিনি। ঐ সময় কোরআন পাঠরত অবস্থায় তার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে সেনেগালের ডাকারে ক্যাথলিক খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এভরা। পরে সপরিবারে ফ্রান্সে বসতি স্থাপন করেন। এখানে দীর্ঘদিন বসবাসের ফলে ফরাসি নাগরিকত্ব লাভ করেন তিনি। ফলে ফ্রান্স জাতীয় দলে সুযোগ পান এভরা। সেখান থেকেই তার ফুটবল প্রতিভার খবর গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। ফুটবল দুনিয়ার প্রায় সব নামী দামি লিগে খেলেছেন এ ডিফেন্ডার। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছেন তিনি। একদিন হুট করে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার ভূত চেপে বসে এভরার মাথায়। এমনকি তা গ্রহণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি। সেই কথা জানান বাবার কাছে। এতে চটে যান তার বাবা। কিন্তু দমেননি তিনি। ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য এখন উপভোগ করছেন এই ৩৮ বছর বয়সী ফরাসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।