মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সোনা জামানত রেখে ঋণ প্রদানকারী একটি সংস্থার কার্যালয়ে একটি গরু নিয়ে হাজির হয়েছেন এক কৃষক। সেখানে হাজির হয়ে তিনি দাবি করেছেন, ‘গরু নিন, ঋণ দিন’। ঠিক এমনটাই ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির চন্ডীতলার গরলগাছা এলাকায়।
এই কৃষকের দাবির পেছনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি মন্তব্য। এক সভায় তিনি দাবি করেছিলেন, দেশি গরুর দুধে সোনা রয়েছে। তবে তিনি হয়ত ভাবতে পারেননি গরলগাছার এই কৃষক গরু বন্দক দিয়ে টাকা নিতে সোজা ঋণ সংস্থার কার্যালয়ে হাজির হবেন।
পেশায় কৃষক সুশান্ত মন্ডল একটি মাঝারি আকারের গরু ও একটি বাছুর নিয়ে হাজির হন একটি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কার্যালয়ে। দাবি করেন, এই গরু আর বাছুর জমা রেখে তাকে ঋণ দিতে হবে। তিনি ব্যবসা বাড়াবেন।
সুশান্ত বাবুর ২০টি গরু আছে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘কয়েক দিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের কথা শুনেছি। উনি বলেছেন গরুর কুঁঁজে স্বর্ণনাড়ি আছে। তাতে সূর্যের আলো পড়লেই সোনা বেরোবে। তাই আমি গিয়েছিলাম। ঋণ পেলে ব্যবসা বাড়ানোর ইচ্ছে ছিল। কিন্তু ওরা নিতেই চাইলো না।’
ঋণ সংস্থার কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ওই কৃষক সোজা চলে যান স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে। দাবি করেন, ব্যবস্থা করে দেওয়ার। পঞ্চায়েত প্রধান মনোজ সিংও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দিলীপ বাবুর ওই কথার পর তাকেও এরকম ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এর আগেও নাকি বেশ কয়েকজন তাকে গরু বন্ধক রেখে ঋণ পাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছেন।
গত ৪ নভেম্বর দিলীপ বাবু বর্ধমান টাউন হলে গাভী কল্যাণ সমিতির সভায় দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, ‘গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। ওই জন্য গরুর দুধের রং সোনালি হয়।’ এখানেই থামেননি তিনি। আরও বলেন, ‘দেশি গরুর কুঁজে স্বর্ণনাড়ি থাকে। সেখানে সূর্যের আলো পড়লেই সোনা বের হয়।’
পরামর্শের সুরে বিজেপি নেতা আরও বলেছিলেন, ‘জার্সি (বিদেশি) গরুর দুধে ভারতীয় গরুর মতো গুণ নেই। আমাদের দেশের গরু মায়ের মতো। আর বিদেশি গরু আন্টির মতো।’
‘গরুর দুধে সোনা’ থাকার তত্ত্ব নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হইচই পড়ে গেছে। অনেক প্রাণিবিজ্ঞানীও বিষয়টি শুনে অবাক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপক তার ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘গরুর দুধে সোনা : এমন গবেষণা কোথায় হয়েছে তা জানতে পারলে ধন্য হতাম।’ সূত্র : দ্য ওয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।