উখিয়া পূর্ব রতœাপালং বড়ুয়া পাড়ায় একই পরিবারের ৪ জনকে গলাকেটে নৃশংস হত্যার আসল রহস্য দেড় মাসেও উদঘাটন হয়নি। ধরা পড়েনি ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীরা। প্রকৃত আপরাধীদের শনাক্ত ও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার সমাপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পাঠ করেন সংগঠনের উখিয়া উপজেলা শাখা যুগ্ম সম্পাদক শিশু বড়ুয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটলেও উখিয়ায় একই পরিবারে ৪ জনকে হত্যা খুবই নৃশংস। ঘটনার পর থেকে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক ও ভীতি সঞ্চার হয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষ, বিবেকবান সমাজ নারকীয় এ ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত। ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানতে মুখিয়ে আছে বৌদ্ধ সমাজসহ স্থানীয় সব শ্রেনী পেশার মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। নিরপরাধ কাউকে যাতে ঘটনায় জড়ানো না হয়, সে বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাসহ সকলকে সতর্ক থাকারও আহবান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বিপক বড়ুয়া, উখিয়া উপজেলা সভাপতি রনজিত বড়ুয়া, চকরিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সুজিত বড়ুয়া, নিহত শ্রীমতি সখি বড়ুয়ার ছেলে রোকন বড়ুয়াসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নিহতদের পরিবারের পক্ষে রোকন বড়ুয়া বলেন, আমার মা সখি বড়ুয়া (৬৫), স্ত্রী মিলা বড়ুয়া (২৫), ছেলে রবিন বড়ুয়া (৫) ও ভাতিজি সনি বড়ুয়া (৫)কে কি কারণে, কারা হত্যা করেছে জানিনা। ঘটনার প্রায় দেড় মাসেও আসল রহস্য উদঘাটন হয়নি। জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। তিনি বলেন, ঘটনা পরবর্তী প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা রাখলেও প্রকৃত অপরাধী সনাক্ত করা নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমরা মনে করি, ঘটনার মূল হোতা কিংবা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে দীর্ঘ সময় লেগে গেলে স্বজনদের হতাশ করবে, খুনিরা আত্মগোপনের সুযোগ পাবে। ঘটনায় নিরপরাধ কোন ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়, আবার দোষিরাও যাতে পার পেয়ে না যায়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে আরো সজাগ থাকতে হবে। উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া পূর্ব রতœাপালং বড়ুয়া পাড়ায় অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা একই পরিবারের ৪ জনকে গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত মিলা বড়ুয়ার পিতা শশাং বড়ুয়া বাদি হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর উখিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা এখন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। এদিকে ইতোপূর্বে প্রবাসী গৃহকর্তা রোকেন বডুয়ার ভাই এর বউ ওই রাতে নিহত সনি (৫) বডুয়ার মা ও তাদের অপর এক আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।