Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভেজাল কীটনাশকে নষ্ট হচ্ছে আমনক্ষেত

কৃষি কর্মকর্তাদের নজরদারি নেই

পীরগাছা (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

রংপুরের পীরগাছায় বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যা-ের মোড়কে ভেজাল কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। আর এসব ভেজাল কীটনাশক আমনক্ষেতে ব্যবহারে আমনধান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাঠ পর্যায়ে উপজেলা কৃষি বিভাগের তদারকি না থাকায় দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ভেজাল কীটনাশক। দোকানীদের পরামর্শে ভেজাল কীটনাশক ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে কৃষক।
জানা যায়, উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের নিজপাড়া (মাঝিপাড়া) গ্রামের আওলাদ হোসেন বাউলিয়ার দোলায় এক বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। প্রথম থেকেই ধানের চারা ভালো ভাবেই বেড়ে উঠেছিলো। কিন্তু রোপণের ১মাস পড়ে অন্যদের দেখাদেখি বাড়তি ফলনের আশায় পোকা দমনে জমিতে কীটনাশক দেন। এতে কিছুদিন পরেই চারা বিবর্ণ হতে শুরু করে। পরবর্তীতে কীটনাশক পরিবর্তন করে দিয়েও আর কাজ হয়নি। বর্তমানে নষ্ট হয়ে গেছে পুরো ক্ষেত।

একই এলাকার কৃষক গয়ছল আজমের ১৫ শতাংশ ও ছববুল ইসলামের আড়াই বিঘা জমিতে কীটনাশক দেওয়ার পর থেকেই জমির ধান নষ্ট হতে শুরু করে। ছববুল ইসলাম পরে অন্য ওষুধ দেওয়ায় তার ক্ষেতের সামান্য উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গয়ছল আজমের জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলা কৃষি বিভাগ অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে হাটবাজারে যত্রতত্র কীটনাশকের দোকানের অনুমোদন দিয়েছে। এসব দোকানে নামিদামি ব্র্যা-ের মোড়কে ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগীতা না পেয়ে অনেকে ওই সব দোকানীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে এসব দোকানীদের কোন প্রশিক্ষণ না থাকলেও তারাই এখন কৃষকের পরামর্শক। তাদের পরামর্শে কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছে কৃষক।

কৃষক আজিজল ইসলাম বলেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের এলাকায় খুঁজে পাওয়া যায় না। আমনক্ষেত পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচাতে দোকানীদের পরামর্শে কীটনাশক দিতে বাধ্য হয়েছি। এখন সঠিক পরামর্শের অভাবে ও ভেজাল কীটনাশকে আমার জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল লতিব বলেন, আমরা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় বাজার মনিটরিং করে থাকি। নিয়মিত বাজার থেকে সার ও কীটনাশকের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমুর রহমান বলেন, আমি নিজে বাজার মনিটরিং করে ভেজাল সার বিক্রির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে ভেজাল কীটনাশক এখনও পাওয়া যায়নি। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছেন।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষি

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ