নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিপর্যস্ত অবস্থায় কোনো রকম প্রত্যাশা ছাড়া ভারতে খেলতে এসে তাদেরকে হারিয়ে দিয়ে হুট করে আসর জমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচেই এখন সিরিজ জেতার হাতছানি। এমন ম্যাচে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মনস্তাত্তি¡কভাবে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশকেই। রাজকোটে আজ সন্ধ্যায় হতে যাওয়া দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলকে পাওয়া গেল বেশ ফুরফুরে মেজাজে। গত কয়েকদিন দেশের ক্রিকেটের উপর চেপে বসা দমবন্ধ পরিস্থিতিও যেন উধাও। ক্রিকেটাররা এক ম্যাচের নৈপুণ্যেই পাচ্ছেন বাড়তি শক্তি, উদ্দীপনা, প্রেরণা।
এই ম্যাচে খারাপ খেললেও সমালোচনার তীর ধেয়ে আসবে না। মন খুলে খেলতে নামতে এই ভাবনাও দিচ্ছে স্বস্তি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ স্পষ্টই জানালেন, ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই অবস্থা থেকে কেবল তাদের পাওয়ারই আছে অনেক, ‘অবশ্যই এটা দুর্দান্ত সুযোগ (সিরিজ জেতার)। যখন আপনি প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়ে থাকবেন, সব সময়ই ভালো সুযোগ। ছেলেরাও উদ্যমী হয়ে আছে ভালো কিছু করতে। আশা করি, কাল ভালো কিছু করে দেখাতে পারব। শুরু থেকে আমাদের উপর আসলে কোনো চাপ ছিল না। কারণ এখানে আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। পাওয়ার ছিল অনেক। কালও তেমন আমাদের পাওয়ার থাকবে অনেক। আমরা আগ্রাসী ও ইতিবাচক ক্রিকেট খেলব।’
সিরিজে পিছিয়ে থাকা মরিয়া ভারতের হাবভাব টের পেয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার কথা ভারত যত বেশি ঝাঁজ দেখাক, তারাও ঠিক ততটাই ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত, ‘আমরা হয়তো কিছুটা হলেও আঁচ করতে পারছি, তারাও দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবে। আরও বেশি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করবে। ওরা মরিয়া হয়ে আছে, আমরাও কিন্তু মরিয়া হয়ে আছি। এটা কিন্তু অনেক বড় একটা সুযোগ আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেটের জন্য। আমরা প্রথমবারের মতো ভারতে একটা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছি। যদি আমরা ভালো খেলে সিরিজটা জিততে পারি আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন হবে। আমাদের ফোকাসের জায়গা আমাদের শরীরী ভাষা, আগ্রাসণ, পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া। আমাদের সব বিভাগেই অনেক বেশি ফোকাসড থাকতে হবে। সবাই যেন সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি সেভাবেই যেন প্রস্তুত থাকি।’
ক্রিকেটারদের ধর্মঘটে অচলাবস্থার পর জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে তথ্য গোপন করায় সাকিব আল হাসানের নিষিদ্ধ হওয়া। বড় বড় সব ঝাঁকুনিতে টালমাটাল ছিল দেশের ক্রিকেট। এই সময়টার জন্য ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জেতার একটা বিশাল গুরুত্ব খুঁজে পাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে যা হলো গত কদিনে! সেদিক থেকে এমন একটা সিরিজ জেতা দারুণ প্রেরণাদায়ক হবে বাংলাদেশের ক্রিকেট ও বাংলাদেশ দলের জন্য। ভারতকে হারাতে আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে বটে। আমরা জানি, তারা খুব ভালো দল। ঘরের মাঠে এবং সবখানেই।’
কেবল শরীরী ভাষাতেই আগ্রাসন হলে চলে না। বাংলাদেশ অধিনায়ক মনে করছেন উইকেট পড়ে ফেলাটা সবচেয়ে জরুরী। সে অনুযায়ী লেন্থ ঠিক করতে হবে বোলারদের। জেতার সুযোগ বাড়াতে হলে প্রতিমুহূর্তের সিদ্ধান্ত, ফিল্ডিং সাজানো এসবও রাখবে ভূমিকা। অর্থাৎ প্রতিটি মুহূর্ত সর্বোচ্চ তী²তায় পরিস্থিতি সামলানোর প্রস্তুতি নিয়ে নামবে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।