নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দিল্লি জয়ের আবহটা এখনও ভেসে বেড়াচ্ছে আকাশে। ধূলার খনিতে কোটি কোটি ভারতীয়দের স্তব্ধ করে দেয়া এক ঐতিহাসিক জয়ের পর আজ রাজকোট দখলের মিশনে নামবে টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচের জয়ের পর মাহমুদউল্লাহর লক্ষ্য সিরিজ জয়ের দিকে।
রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল জয়ের জন্য মরণকামড় দেয়ার প্রস্তুতি নিলেও থেমে নেই বাংলাদেশও। দলপতির হুঙ্কারেই তা স্পষ্ট, ‘ওরা মরিয়া হয়ে আছে, আমরাও কিন্তু মরিয়া হয়ে আছি। এটা কিন্তু অনেক বড় একটা সুযোগ আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেটের জন্য। আমরা প্রথমবারের মতো ভারতে একটা দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছি। যদি আমরা ভালো খেলে সিরিজটা জিততে পারি আমাদের জন্য অনেক বড় একটা অর্জন হবে।’ পরিসংখ্যানে ভারত বরাবরই এগিয়ে। নিজেদের কন্ডিশন বিবেচনায় আরো বেশি শক্তিশালী। কিন্তু দিল্লিতে ‘অজেয়’ তকমা হারানোর পর ভারতের ক্রিকেটের প্রতিপক্ষ খোদ ভারতীয়রাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে তারা সমালোচনা ও প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের। টানা ৮ ম্যাচ জয়ের পর প্রথম হার। স্বাভবিকভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ বলেই যত ভয়। এর আগে জয়ের ধারে-কাছে দিয়ে ঘুরেও অধরা জয় পায়নি মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকরা। ঘুরে দাঁড়ানো বাঘের কামড় প্রতিপক্ষকে কিভাবে ক্ষত-বিক্ষত করে, তা এই মুহুর্তে সবচেয়ে ভালো জানে প্রতিবেশী দেশটি।
চলতি বছরটা ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে সুবিধাজনক অবস্থায় নেই পড়শিরা। সেপ্টেম্বরে সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে এগিয়ে থেকেও জয় ধরে রাখতে পারেনি নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলির দল। এর আগে ফেব্রæয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজে সরাসরি হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়েই ঘুম হারাম হয় শচীন টেন্ডুলকারের উত্তরসূরীদের। তাই, ঘরের মাঠে টানা তৃতীয় সিরিজে ধরা খাওয়ার চিন্তায় তাই রোহিতের দলের রাত কাটছে বিনিদ্র।
প্রথম ম্যাচেই ভারতীয় বোলিংয়ের ছন্নছাড়া ভাব ফুটে উঠেছে। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার কুলদিপ যাদব ছাড়াও পেসার যসপ্রীত বুমরাহ নেই সিরিজে। তাদের বোলিং আক্রমণ একটু অনভিজ্ঞ। তবে বৈচিত্র্যের অভাব নেই তাতে। এমন একটা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে প্রথম বল থেকেই থাকতে হবে ইতিবাচক বলে মনে করছেন টাইগার সেনাপতি মাহমুদউল্লাহ, ‘তাদের বোলিং আক্রমণে বৈচিত্র্য আছে। ভালো কিছু স্পিনার আছে, পেসার আছে। আমাদের প্রথম বল থেকেই দাপট দেখাতে হবে তাহলে মোমেন্টাম আমাদের দিকে আসবে।’
জয়ের ছক ইতিমধ্যেই কষে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। সেই ছকে সাকিব আল হাসান-তামিম ইকবাল নেই, তবে আছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈমের মতো প্রতিভা। সেই সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহতো আছেনই। বলহাতে শফিউল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন দিচ্ছেন পেস বোলিংয়ের নেতৃত্ব। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ আছেন স্পিন আক্রমণের দায়িত্বে। এছাড়া দলের প্রয়োজনে বল তুলে নিতে প্রস্তুত আছেন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের নিয়মিত উইকেট শিকারি পার্ট-টাইম বোলার সৌম্য।
ভারতের আকাশে দুর্দান্ত প্রতাপ নিয়ে কখনো কি উড়বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ভেজা পতাকা? অত্যন্ত আশাবাদীরাও হয়তো এই স্বপ্ন দেখতে সাহস পাননি আগে। কিন্তু প্রেক্ষাপট বদলে এবার রাজকোটে ওড়াতে চাই নিজেদের রক্তে অর্জিত স্বাধীন পতাকা। কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ? সেই অপেক্ষায় আমরা পথ চেয়ে বসে আছি। যেদিন আমরা গর্বকরে বলতে পারবো, ভারত জয় করেছে আমার দেশের সোনার ছেলেরা। গ্যালারিতে শুনতে পাবো ডাক-ঢোলও তবলার সঙ্গে গর্জনের সুর, ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’। সেজন্য প্রয়োজন মাত্র একটি জয়। রাজকোটে আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলেই সিরিজটি হয়ে যাবে বাংলাদেশের কব্জায়। সিরিজের শেষ ম্যাচের আগেই এখন টাইগারদের হাতে আছে নাগপুরকে আনুষ্ঠানিকতার মঞ্চ বানানোর। পারবে কি মাহমুদউল্লাহরা? যদি জিতে যায়, তাহলে রাজকোটেই সিরিজ জয়ের উৎসবে মেতে উঠবে সমগ্র বাংলাদেশ। নিশ্চুপ হয়ে যাবে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।