মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পরনে লাল বেনরাসী শাড়ি। অনেকটা টানা ঘোমটা। একটা বড়সড় নাকছাবি, ঝুমকো, চুড়ি সবই আছে। দূর থেকে দেখে মনে হবে, যেন সদ্য বিয়ে হওয়া বউ।
একটু ভাল করে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ঘোমটার নিচে যিনি আছেন, তিনি নববধূ তো ননই, এমনকী মহিলাও নন। একজন বৃদ্ধ মানুষ। নাম চিন্তাহরণ চৌহান। বাড়ি ভারতের উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরে।
গত প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এভাবেই প্রতিদিন ঘোমটা মাথায় নববধূর বেশে বসে থাকেন। কারণটা কুসংস্কার। কিন্তু এই বৃদ্ধের কাহিনী হৃদয় বিদারক। ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতিদিন মহিলাদের পোশাকে সেজে ওঠেন চিন্তাহরণ। কিন্তু কেন?
চিন্তাহরণ বলছেন, এর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে তার পরিবারের ভবিষ্যৎ। সাত এবং আটের দশকে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে তিনি নিজের পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে হারিয়েছেন। তারপর থেকে স্বপ্নে আদেশ পেয়ে চিন্তাহরণ নববধূর মতো পোশাক পরে থাকেন। এই পোশাক পরার পর থেকেই নাকি তার বাড়িতে আর অকালমৃত্যু হয়নি। অসময়ে প্রিয়জনদের হারাতে হয়নি তাকে।
চিন্তাহরণ বলছেন, ১৪ বছর বয়সে তার প্রথম বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রী মারা যায়। ২১ বছর বয়সে তিনি কাজ করতে পশ্চিমবঙ্গে আসেন। উত্তর দিনাজপুরের ইটভাটায় কাজ করতেন। কাজ করতে করতে মালিকের খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েন।
কিছুদিন বাদে মালিকের মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু, চিন্তাহরণের বাড়িতে ্ে বিয়ে কেউই মানতে চায়নি। শেষে স্ত্রীকে ছেড়ে তিনি উত্তরপ্রদেশ ফিরে যান। তারপরই দ্বিতীয় স্ত্রী আত্মহত্যা করেন।
পরিবারের চাপে কয়েক মাস পর আবারও বিয়ে করতে হয় চিন্তাহরণকে। এবারে তিনি নিজে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিন্তাহরণ প্রাণে বেঁচে গেলেও একে একে তার বাবা-মা-ভাই-ভাইয়ের ছেলেমেয়ে মিলে পরিবারের ১৪ জন প্রাণ হারান। যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে চিন্তাহরণকে।
তিনি বলেন, ‘একে একে যখন সবাই চলে যাচ্ছে, তখন আমি স্বপ্নে আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর আদেশ পাই। সেই আমাকে বলেছিল এভাবে নববধূর বেশে থাকতে। তাহলেই পরিবারের আর কারও ক্ষতি হবে না।’ তারপর থেকেই নতুন বউ সেজে বসে থাকেন চিন্তাহরণ। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।