বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জে ভবন ধসে নিখোঁজ স্কুল ছাত্র ওয়াজেদের (১২) সন্ধান গত ২৪ ঘন্টায়ও মেলেনি। গত রোববার নগরের বাবুরাইল শেষ মাথায় কেউট্টার বাড়ি (বড় বাড়ি) এলাকায় এইচএম ম্যানশন ধসে পড়লে নিখোঁজ হয় ওয়াজেদ। ওই ঘটনায় তার খালাত ভাই সোয়েব নিহত হয়। ওয়াজেদের সন্ধানে গতকাল সোমাবার সারাদিন ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের অভিযান অব্যাহত ছিল। তবে উদ্ধারকারী দলের ধারণা ওয়াজেদ আর বেঁচে নেই। এখন তার লাশ উদ্ধারের অপেক্ষা মাত্র। নিখোঁজ ওয়াজেদ ওই এলাকার বাবুর মিয়ার ছেলে।
এদিকে ঘটনা তদন্তে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রেহেনা আক্তারকে প্রধান করে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন। এই কমিটিকে আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওই ঘটনায় নিহত সোয়েবের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহত ৪ জনের প্রত্যেককে ১০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহেনা আক্তার বলেন, কমিটিতে পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, রাজউকের প্রতিনিধি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকৌশলী রয়েছে। কমিটি গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুপুরের পর তার এ বিষয়ে বৈঠকও করেন। যথা সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে তিনি জানান।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভির্সের উপসহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, গতকালও নিখোঁজ ওয়াজেদের জন্য তাদের অভিযান অব্যাহত ছিল। ধসে পড়া ভবনটির দেয়ালে বড় বড় গর্ত তৈরী করে তারা ওয়াজেদের খোঁজ করেছেন। কিন্তু কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। পাশের খালেও তাকে উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
ধসে পড়া ভবনের আগে-পরে আরও তিনটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ
এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ধসে পড়া ভবনটির আগে একটি এবং পরে আরও দু’টি ভবন একই ভাবে খালের একাংশ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে। ধসে পড়া ভবনের পেছনের একটি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়ে গতকাল সেটি প্রশাসনের নির্দেশে খালি করে দেওয়া হয়েছে। ধসে পড়া ভবনটির সামনে খোরশেদ মঞ্জিল যেটির মালিক মনির হোসেন মিলু, পেছনে আবদুল মতিনের মালিকানাধীন এবং তার পেছনে রিয়াজ উদ্দিনের মালিকানাধীন ভবন রয়েছে। এই প্রত্যেকটি ভবন তিন তলা।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেলে নগরের বাবুরাইল শেষ মাথায় এইচএম ম্যানশন নামে ৪ তলা ভবনটি একপাশে ধসে পড়ে। ওই ঘটনায় সোয়েব নামে এক শিশু নিহত হয়। আহত হয় ৩ জন। নিখোঁজ রয়েছে ওয়াজেদ নামে অপর এক শিশু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।