মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রেখে রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে তাদের নিজ দেশে ফেরার ব্যবস্থা করার আহ্বানন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। গুতেরেস শনিবার নিউইয়র্কে এক বক্তৃতায় মিয়ানমারের প্রতি এই আহ্বান জানান বলে ইরানভিত্তিক গণমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, এই জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থারও উন্নয়ন ঘটাতে হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানরা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। সম্মান, মর্যাদা ও নিরাপত্তা বজায় রেখে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ বাসভ‚মিতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব এমন সময় এ আহ্বান জানালেন যখন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এছাড়া স¤প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন একজন রোহিঙ্গা শরণার্থীরও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রমাণ দেখানোর জন্য মিয়ানমার সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। অপর এক খবরে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এশিয়াকে কয়লার প্রতি ‘আসক্তি’ ছাড়তে হবে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে এই অঞ্চলের দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে আছে উল্লেখ করে উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করার প্রচেষ্টায় এই দেশগুলোর ‘সামনের সারিতে’ থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এশিয়ার দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বন্যার বিশেষ ঝুঁকির মুখে আছে, নতুন একটি গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এশিয়ার অনেকগুলো দেশে কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস বলে জানিয়েছে বিবিসি। শনিবার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গুতেরেস জলবায়ু পরিবর্তনকে ‘আমাদের সময়ের জন্য নির্ধারিত সমস্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এ সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণা ফলাফলের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, আগে যা ভাবা হয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তন তার চেয়েও বহু লক্ষ বেশি লোককে ২০৫০ সালের মধ্যে উপক‚লীয় বন্যার ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। যারা এই ঝুঁকির মধ্যে পড়বে তাদের অধিকাংশই এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাসিন্দা। গুতেরেস বলেছেন, “লোকজন এই সংখ্যাগুলোর সঠিকতা নিয়ে আলোচনা করতে পারে, কিন্তু এই লক্ষণ যে দেখা দিতে শুরু করেছে তা পরিষ্কার।” এশিয়ায় এই ইস্যুটি ‘বিশেষভাবে সংবেদনশীল’ হওয়া সত্তে¡ও ‘প্রভাব ফেলার মতো সংখ্যার’ নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। “কার্বনের ওপর ম‚ল্য আরোপ করা দরকার আমাদের। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ভবিষ্যতে নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরিও বন্ধ করতে হবে আমাদের,” সতর্ক করে বলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংবাদ সংগঠন ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ১৯ কোটি লোক বসবাস করবে এমন এলাকাগুলো ২১০০ সালে প‚র্ণ জোয়ার রেখার নিচে চলে যেতে পারে।এএফপি, পার্সটুডে, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।