বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মো: সাদত উল্লাহ, বান্দরবান থেকে : বান্দরবানে অপহৃত নেতা মংপু মারমা ৭ দিনেও উদ্ধার না হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের ডাকে দ্বিতীয় দফায় অনির্দিষ্টকালের সড়ক-নৌপথ অবরোধের কর্মসূচি চলছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। তবে বান্দরবান জেলার পৌর শহর এই অবরোধের আওতার বাইরে রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালায়ে গত শনিবার সকাল ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলের সহ-সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীর জেলার ৪টি উপজেলায় অবরোধের ঘোষণা দেন। রোববার সকাল থেকে জেলা শহরের পৌর এলাকার বাইরে চারটি উপজেলায়ও এ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। সদর উপজেলা, রুমা, থানছি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় কোথাও যান চলাচল করেনি রোববার সকাল থেকে। সড়ক ও নৌপথসমূহ রয়েছে বন্ধ। সকালে অবরোধের সমর্থনে শহরের প্রধান সড়কগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা-কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে বিভিন্ন এলাকায়। থানছি, রোয়াংছড়ি, রুমা উপজেলার সাথে সড়ক ও নৌপথ রয়েছে সম্পূর্ণ বন্ধ। এছাড়াও বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কেও সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকায় দূরদূরান্ত হতে জনসাধারণকে মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে বাজারে যেতে হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে জনসাধারণ। অবরোধের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। যানচলাচল বন্ধ থাকায় মৌসুমী ফলফলাদি গাছে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকায় চিন্তাগ্রস্ত তারা। কালাঘাটা-রোয়াংছড়ি সড়কে অবরোধ কর্মসূচিতে দায়িত্ব নিয়োজিত জেলা আ’লীগ নেতা মং নু চিং মারমা জানান, অপহৃত আ’লীগ নেতা মংপু মারমা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জেলার ৪টি উপজেলা সদর, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানছির প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীণ বাঘমারা, কুহালং, রাজবিলা কিবুকপাড়া সড়ক ও সাঙ্গু নদীপথে এই অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এর আগে গত ১৪ জুন জেলা আ’লীগ অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দিলে ১৫ এবং ১৬ জুন অবরোধ চলার পর অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বিকালে এক পথসভায় শুক্রবার ও শনিবার দু’দিন অবরোধ শিথিল করার ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, গেল ১৩ জুন সোমবার রাত ১১টার দিকে রাজবিলা ইউনিয়নের জামছড়ি মুখপাড়ার ইউপি’র মহিলা সদস্য ক্রানুপ্রæ মারমার বাড়ি থেকে মংপু মারমা নামের এই নেতাকে ১০-১৫ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দল অপহরণ করে গভীর জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। এসময় অপহৃত মংপু মারমার জামাতা হ্লামংসিং মারমা বাদি হয়ে বান্দরবান সদর থানায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শীর্ষনেতাসহ ৩৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেন। এদিকে অপহরণ ঘটনার মামলায় এ পর্যন্ত পুলিশ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদর উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উচসিং মারমা, মেহ্লাচিং মরাম, সাদোচিং মারমা, শৈখ্যাইচিং মারমা ও বাচিংমং মারমা নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিক উল্লাহ জানান, মংপু মারমাকে উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।