নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগেই বায়ুদূষণের মাত্রা আবার লাগামছাড়া হয়েছে। ক্ষোভে ফুসে উঠেছে সমর্থকেরাও। দিল্লিতে কুয়াশা ও ধোঁয়া মিলে মিশে জীবনযাত্রা হুমকির মুখে ফেলেছে। দীপাবলি উৎসব মিলে দিল্লির বাতাস এখন দুর্যোগের সীমাও ছাড়িয়ে গেছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) গড়ে সাড়ে চার শর ওপরে দেখাচ্ছে। তবে স্থান বিশেষে সেটা এক হাজারও পেরিয়ে গেছে। বিষয়টি যে হুট করে ঘটেছে তা নয়। দীপাবলির পরে আবহাওয়া খারাপ হবে, এটা সবারই জানা ছিল।
এত দিন পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে দুই দেশের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফরাও বলছেন, দিল্লির এই আবহাওয়ায় খেলা সম্ভব নয়। সে তালিকায় গৌতম গম্ভীর থেকে শুরু করে রবিচন্দ্রন অশ্বিনও আছেন। দিল্লির দূষণ নিয়ে বছরের এ সময়টায় প্রতিবারই কথা হয়। এবারের অবস্থাটা আগের চেয়েও খারাপ। ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন টুইট করেছেন, ‘দিল্লির আবহাওয়ার মান খুবই ভয়াবহ। অক্সিজেন পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে মৌলিক চাহিদা। একটা সংকটাপন্ন অবস্থা চলছে।’
ক্রিকেট সমর্থকেরাও তাদের হতাশা লুকাতে পারেননি। কিউআইয়ের মানদণ্ড অনুযায়ী, দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা এতটাই ছাড়িয়েছে যে শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার ভুগতে পারেন খেলোয়াড়েরা। সমস্যাটা যে শুধু খেলোয়াড়দেরই নয়, খেলা দেখতে আসা সমর্থকদেরও। ক্ষুব্ধ হয়ে সে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সমর্থকেরা। নিতিন নারায়ণ নামে এক সমর্থক টুইট করেছেন ম্যাচটি সমর্থকদের জন্য হুমকিস্বরূপ, ‘পাগলামো বিষয়। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচটি শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই হুমকিস্বরূপ নয়, সমর্থকদের জন্যও হুমকি।’
মৈত্রী জৈন নামের এক সমর্থক এতে সৌরভ গাঙ্গুলীর দোষ দেখছেন, ‘লজ্জা হওয়া উচিত গাঙ্গুলীর, এ ম্যাচ বাতিল কর।’ বিশাল নামের এক সমর্থকের কাছে এ ম্যাচ খেলা মানে অপরাধ, ‘দিল্লির এত দূষণের মাঝে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন অপরাধ এবং খেলার জগতে কালো দাগ ফেলা। কেন এটা সরানো হলো না এবং সবাই যখন জানে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারিতে এমন কিছু হয় তখন কেন এখানে ম্যাচ রাখা হলো। কে উত্তর দেবে?’
সাংবাদিক অভিষেক মুখার্জি টুইট করেছেন, ‘একটাই অনুরোধ। যারা যাবেন দয়া করে বাচ্চাদের নেবেন না। কারণ ভবিষ্যতে আপনার সন্তান এ অপরাধের জন্য আপনাকে ক্ষমা করবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।