পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এদেশের উন্নয়ন অংশীদারদের অন্যতম সউদী আরব। দেশের বিভিন্ন খাতে তাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ রয়েছে। গত মার্চে সউদী আরবের বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতের অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বড় প্রকল্পে ৩৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে। সউদী সরকারের মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, দুই দেশের বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় করতে মহেশখালী অথবা পায়রায় ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি। সউদী আরবের প্রতিষ্ঠান-অ্যাকোয়া পাওয়ার এ জন্য আড়াইশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু হবে আগামী বছরের মধ্যে। তবে এর আগে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের স্থান ঠিক করে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা জরিপ করা হবে। এসব কেন্দ্র পাঁচ বছরের মধ্যেই যাবে উৎপাদনে।
যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির পর তৃতীয় কোনো দেশ বাংলাদেশে এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস)ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে। অ্যাকোয়া পাওয়ারের আগে বাংলাদেশে সউদীর আল ফানাহ নামে একটি কোম্পানি ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি করেছে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অ্যাকোয়া পাওয়ার আড়াইশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ দেশটির ইতিহাসে বড় বিনিয়োগ। সম্প্রতি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে সউদী আরবের কোম্পানি অ্যাকোয়া পাওয়ারের এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। পিডিবির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ এবং অ্যাকোয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আবু নাইয়ান স্মারকে সই করেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জিই’র সঙ্গে পিডিবি এবং জার্মানির সিমেন্সের সঙ্গে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির একই ক্ষমতার দু’টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সউদী আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। নতুন করে ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগ্রহ দুই দেশের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে।
অ্যাকোয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আবু নাইয়ান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক অনেক ভালো। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হবে। আবু নাইয়ান বলেন, বিশ্বের ১২টি দেশে আমাদের কোম্পানি কাজ করছে। আমাদের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ সৌর বিদ্যুৎ খাতে। এছাড়া জলবিদ্যুৎ, তাপবিদ্যুৎ নিয়েও আমরা কাজ করছি। বাংলাদেশে এটি সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে সেটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হবে।
এদিকে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ খাতেও পৃথকভাবে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সউদী আরব। সম্প্রতি সউদী আরবভিত্তিক রিয়াদ কেবল গ্রুপ কোম্পানির দুই সদস্যের প্রতিনিধিদল বিডা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। এ সময় প্রতিনিধিদল জানায়, রিয়াদ কেবল গ্রুপ কোম্পানি বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ কেবল উৎপাদন কোম্পানি। তারা বিদ্যুৎ ও সৌর বিদ্যুৎ খাতে বিপুল বিনিয়োগের আশা প্রকাশ করে বিডার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। রিয়াদ কেবল গ্রুপের প্রতিনিধিদল ১২-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করে। এ সময় তারা বিদ্যুৎ বিভাগ ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভা করে।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট জায়গা এবং মানসম্মত পণ্যের বিশাল বাজার। একই সঙ্গে রয়েছে শতভাগ রফতানির সুবিধা। তিনি বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য বিডা প্রস্তুত।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের ঝুড়ি এখন ভরা। তারপরও উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে আমাদের আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন। সউদী আরবের এই বিনিয়োগ দুই দেশের বন্ধুত্ব আরো দৃঢ় করবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে সউদী আরবের অ্যাকোয়া পাওয়ারের আড়াইশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করল। তিনি বলেন, আমরা গত নভেম্বরে সউদী আরব সফর করি, তখন সউদী বাদশাহ বলেছিলেন বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পিআইএফ (পাবলিক ইনভেস্ট ফান্ড) টিম পাঠাবেন। এক বছরের কম সময়ে তিনি তার কথা বাস্তবায়ন করেছেন।
তিনি বলেন, এনার্জি হচ্ছে অর্থনীতির চালিকাশক্তি। বাংলাদেশে অসাধারণ সাফল্য এসেছে এই খাতে। উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, খুব দ্রুত চূড়ান্ত চুক্তি ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ হবে। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চার থেকে ৫ বছর সময় লাগবে বলে উল্লেখ করেন সালমান এফ রহমান।
এদিকে গত মার্চে যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বড় বড় প্রকল্পে বাংলাদেশে ৩৫ বিলিয়ন বা তিন হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় সউদী আরব। এ বিনিয়োগের জন্য দ্রুত কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স ইন কাস্টম ম্যাটার চুক্তি করতে চাচ্ছে দেশটি। ঢাকায় সউদী আরব দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়ে শুল্ক চুক্তি করার তাগিদ দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিটি অর্থ বিভাগের সচিব আবদুল রউফ তালুকদার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার নিকট পাঠিয়ে সউদী আরবের সঙ্গে শুল্ক চুক্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সউদী আরব সরকারের জেনারেল কাস্টম অথরিটি শুল্ক চুক্তি অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছে। শুল্ক চুক্তি করার জন্য সউদী সরকার বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র আরো জানায়, গত মার্চে সউদী আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল কোসাইবির নেতৃত্বে বাণিজ্য ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা প্রায় ৩৫ বিলিয়ন ডলার বা তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা বাংলাদেশের যোগাযোগ খাতের অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বড় প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সউদী আরব সরকারের মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে শুল্ক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে।
সউদী আরবের মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত শুল্ক চুক্তির খসড়াটিও চিঠির সঙ্গে তারা সংযুক্ত করে দিয়েছে। এ খসড়ায় বলা হয়েছে, শুল্ক চুক্তির কো-অপারেশন অ্যান্ড মিউচুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স বিধানের আওতায় দুই দেশ কাস্টম-বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করবে। কোনো ধরনের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করা হলে অবশ্যই দেশগুলো তা একে অপরকে জানাবে।
দুই দেশ মেধাস্বত্ব অধিকার সুরক্ষায় এ শুল্ক চুক্তিতে অধিক গুরুত্ব দেবে। এছাড়া আমদানি-রফতানির পণ্যগুলো নিজ নিজ দেশের আইন অনুসারে নির্দিষ্ট দেশে প্রবেশ করবে। কাস্টম আইন ভঙ্গ করলে এ অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
শুল্ক চুক্তি অনুসারে অবৈধ ও স্পর্শকাতর পণ্যগুলো কোনোভাবেই দুই দেশে প্রবেশ করতে পারবে না। এসব পণ্য হচ্ছে- আগ্নেয়াস্ত্র, মিসাইল, বোমা ও নিউক্লিয়ার পণ্যসামগ্রী। শিল্পকলা ও প্রত্মতত্ত্ব অর্থাৎ যেসব পণ্যের আর্থিক মূল্য রয়েছে এগুলোও আমদানি-রফতানি করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ মাদক এবং যেসব পণ্য পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সেসব পণ্যও আমদানি-রফতানি করা যাবে না।
শুল্ক চুক্তির খসড়ায় আরো বলা হয়েছে, দুই দেশের কোনো পক্ষ আমদানি-রফতানি বিষয়ক জটিলতার জন্য সরকারের অনুমোদন-সাপেক্ষে আমদানি-রফতানিকারকরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। দুই দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে কোনো সরকারের আবদার রক্ষা নাও করতে পারবে।
এ চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে অবশ্যই দুই পক্ষ সরকারের উচ্চমহলে বিষয়টি অবহিত করতে পারবে। সমস্যা দূর করতে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সউদী আরবের অর্থায়নে ঢাকা-বরিশাল-পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত দ্রুতগতির রেলপথ স্থাপন করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যেও দ্রুতগতির রেল সংযোগ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় সউদী আরব। এখন ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে যে রেলপথ আছে, দ্রুতগতির রেল এ লাইন ব্যবহার করতে পারবে না। তাই নতুন করে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে দ্রুতগতির রেলপথ নির্মাণ করা হবে।
বিশ্বের বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আরামকো বাংলাদেশে তেল রিফাইনারি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবে। এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) দিয়ে পাওয়ার প্ল্যান্ট করবে সউদী আরবের আকুয়া প্রো কোম্পানি। এছাড়া সউদী আরবের এসএএলআইসি কোম্পানি, এসএবিআইসি কোম্পানি, মাদান কোম্পানি, আল-ফানার কোম্পানি, আল-বাওয়ানি কোম্পানি, আল সালাম এয়ারক্রাফট কোম্পানি, রিয়াদ ক্যাবলস গ্রুপ, ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে দু’টি সউদী কোম্পানির প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তারা বায়োমেডিক্যাল প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তারা ময়মনসিংহ ও জামালপুরে বাংলাদেশি টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং তাদের সউদী আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে নিয়োগের সুযোগ করে দেবে। বিমান চলাচল খাতে রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত ও অন্যান্য সেবা অবকাঠামো তৈরিতে সউদী আরব বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। লালমনিরহাটে এ সার্ভিস সেন্টার তৈরি করা হবে এবং উড়োজাহাজ সেবায় এটা আন্তর্জাতিক মানের একটি ফ্যাসিলিটি হবে।
শুধু তা-ই নয়, ১০ কোটি ডলার ব্যয়ে একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প ফেনীতে তৈরি করা হবে। সউদী আরবের সবচেয়ে বড় আগ্রহ রেলপথ ও তেল রিফাইনারি খাতে। এছাড়া উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের মতো বড় প্রকল্প নিয়েও তাদের আগ্রহ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।