Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নয়াদিল্লি-বেইজিং বাদানুবাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারত-চীন সম্পর্কে মতের অমিল, মনান্তর এবং কথার খেলাপ নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু ডোকলাম সংঘাতের দীর্ঘ আড়াই বছর পর এই প্রথম কড়া বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ল নয়াদিল্লি ও বেইজিং। গত বৃহস্পতিবার থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে গণ্য হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এর পরেই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে ভারতের এই পদক্ষেপ ‘বেআইনি এবং অন্তঃসার শ‚ন্য’। খানিকটা হুমকির সুরে বলা হয়েছে, ভারত যেন চীনের সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেয়। চীনের এমন বিবৃতের পর চুপ করে থাকেনি ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাংবাদিক সম্মেলনে মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেছেন, ‘চীনসহ কোনো দেশ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করবে, এটা আমরা আশা করি না। একইভাবে আমরাও অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মুখ বন্ধই রাখি।’ এখানেই না থেমে ঐ মুখপাত্র বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের একটা বড়ো এলাকা চীন দখল করে রেখেছে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একটি অংশও বেআইনিভাবে দখলে নিয়েছে চীন। গত দুই বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ‘ওবর’ প্রকল্পের অন্তর্গত চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের বিরোধিতা করে চলেছে নয়াদিল্লি। ঐ করিডর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ওপর দিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা পাকিস্তান বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে এটাই ম‚ল যুক্তি ভারতের। যথারীতি তাতে এখনো কর্ণপাত করেনি বেইজিং। এনিয়ে রবীশ কুমার বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, ‘ভারত ক্রমাগত চীন এবং পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক করিডরের প্রকল্পগুলো নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এসেছে। ১৯৪৭ সাল থেকে ঐ এলাকা বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান।’ রয়টার্স, এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ