Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদালতের শোকজ নোটিশ পেয়েও কাজ বন্ধ করেননি ইউএনও

রাজাপুর উপজেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণ

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৯, ৫:৪৫ পিএম

ঝালকাঠির রাজাপুরে ব্যক্তি মালিকানাধীন বিরোধীয় জমিতে উপজেলা পরিষদ মার্কেট নির্মাণে ঝালকাঠির জজ আদালতের কারণ দর্শানো নোটিশ পাওয়ার পরেও কাজ বন্ধ না রেখে উল্টো আরও বেশি শ্রমিক নিয়ে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ হাওলাদার। এঘটনায় উপজেলা পরিষদের পাশে ওই জমির মালিক জাওয়াদ মুন ও তাঁর মা অতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

জানা যায়, রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রের সীমানা প্রাচীরের পাশ ঘেঁষা ৪৭ নম্বর রাজাপুর মৌজার ১৮৪৩ দাগের ৯৭ শতাংশ জমির সাবকবলা দলিলমূলে মালিক হাজী এছাহাক উদ্দিন হাওলাদার। তাঁর মৃত্যুর পর চার ছেলে ও তিন মেয়ে ওয়ারিশ থেকে ভোগ দখল করে আসছিল। গত ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার কোন রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে ১৮৪৩ দাগের জমিতে বেআইনীভাবে ঢুকে বসত বাড়ির বেশ কয়েকটি ফলের গাছ ও রান্না ঘর ভেঙে উপজেলা পরিষদ মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদার। এসময় জমির ওয়ারিশরা বাড়িতে না থাকায়, পরে ঘটনা শুনে ওয়ারিশদের একজন ইউএনওর কাছে গিয়ে জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন জানালে ইউএনও উল্টো এ জমি জেলা পরিষদের বলে দাবি করেন। এ ঘটনার পর গত ৩০অক্টোবর ঝালকাঠির রাজাপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন জমির মালিক হাজী এছাহাক উদ্দিনের দৌহিত্র জাওয়াদ মুন (মামলা নং দেং ১৭৯/২০১৯)। মামলায় রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রাজাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়। ওই দিন বৃহস্পতিবার দুপুরেই রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর কারন দর্শানো নোটিশ পাঠায় ঝালকাঠির রাজাপুর সহকারী জজ আদালত। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গোপনীয় শাখা কারন দর্শানো নোটিশটি বৃহস্পতিবারই গ্রহন করে ।

জাওয়াদ মুন বলেন, ১৮৪৩ দাগের পুরো জমি আমাদের। এ জমির মধ্যে উপজেলা পরিষদের কোন জমি নাই। তার পরেও কোন রকম নোটিশ ছাড়াই ইউএনও স্যার আমাদের জায়গায় তার লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে ঢুকে অনেক গুলো কাঁঠাল, আমড়াসহ ফলজ গাছ কেটে ফেলেছে এবং আমাদের রান্না ঘর ভেঙ্গে সেখানে বেশ কয়েকটি পিলার করেছে। আমি মামলা করার পর তিনি আরও ক্ষেপে গিয়ে বাড়তি লোকবল নিয়ে নিজে দাড়িয়ে থেকে কাজের তদারকি করছেন। মহামান্য আদালতের কারন দর্শানো নোটিশ পাবার পর বৃহস্পতিবার কাজ বন্ধ করেননি এমনকি তিনি শুক্র ও শনিবারও এই জায়গায় নির্মান কাজ করিয়েছেন আরও দ্রুত গতিতে।

ঝালকাঠি জেলা জজ আদালতের আইনজীবি সুভাষ চন্দ্র দত্ত বলেন,একজন সরকারী কর্মকর্তার নামে আদালত থেকে কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে কারন দর্শনো নোটিশ পাঠানো মানেই নোটিশের জবাব দেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকবেন। তার পরেও যদি তিনি সেই কাজ করেন তাহলে তা হবে আদালত অবমাননার সামিল। এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ হাওলাদার বলেন, আমি আদালতের শোকজ নোটিশ পেয়েছি। নোটিশে দশদিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আমি যথা সময়ে জবাব দেব। শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরও কাজ চালিয়ে যেতে পারেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এসব আদালতের বিষয় এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শোকজ নোটিশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ