মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কথিত আছে হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালার ডাকে নাকি শহর থেকে বেরিয়ে এসেছিল একপাল ইঁদুর। আবার কেউ বলেন, একদল শিশু ছুটে গিয়েছিল সেই বাঁশিওয়ালার পিছনে। তাই বলে বাঁশির সুরে অপরাধী খুঁজে বের করছে পুলিশ! না, কোনও রূপকথা নয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতা পুলিশেই আছেন এমন এক বাঁশিওয়ালা।
মনোরঞ্জন মুর্মু পেশায় সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) থানা পূর্ব যাদবপুর। আর পাঁচজন পুলিশের মতই সাদা পোশাক পরে ডিউটি করেন তিনি। এসআই মনোরঞ্জন কিন্তু এই প্রাণহীন পেশার বাইরে প্রাণ খুঁজে পান বাঁশির সুরে।
লাঠি-বন্দুক ধরা কর্কশ হাত অনায়াসে বাঁশি-কিংবা ভায়োলিনে তোলে সুরের মূর্ছনা। মনোরঞ্জন প্রথমে ছিলেন পুলিশ ব্যান্ডে। তারপর পদোন্নতি পেয়ে এসআই হয়ে এখন ব্যান্ডেলের বাসিন্দা। বাঁশি বাজিয়ে অপরাধী ধরার গল্প শোনা যাক তার মুখ থেকেই।
একসময় এক প্রত্যন্ত এলাকায় পোস্টিং হয়েছিল। তখন সদ্য একটা খুন হয়েছে সেই গ্রামে। রাত হলেই বসত মদ-জুয়া-গাজার আড্ডা। অপরাধী ধরতে নাকাল হচ্ছিল পুলিশ।
খুনের ঠিক তিনদিন পর সেখানে পোস্টিং হয় মনোরঞ্জন বাবুর। রাত হলেই শুনশান যে গ্রামে নামে আতঙ্ক, সেখানে গিয়ে নিঝুম অন্ধকারে বাঁশিতে সুর তুললেন তিনি। নতুন পুলিশ কর্মকর্তার বাঁশি শুনলেন অনেকেই। পরের দিন ফের বাজালেন বাঁশি। সবাই চিনে ফেলল তাকে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন। আর এভাবেই খুনের কিনারা করে ফেললেন। থানার ওসিকে বলার পর চলল তল্লাশি, বেরিয়ে এল খুনী। এভাবেই পেশা-নেশা একাকার করে ফেলেছেন তিনি।
ডিউটির বাইরে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের সঙ্গেই সময় কাটান মনোরঞ্জন। স্ত্রীকে ঘরের কাজে সাহায্য করা। ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি সময় পেলেই বসে পড়েন বাঁশি কিংবা ভায়োলিন হাতে।
মনোরঞ্জনের যেখানেই পোস্টিং হোক না কেন, সেখানেই মানুষ তাকে চিনে ফেলেন সহজেই। মিঠে সুরেই তিনি মানুষের মনের কাছাকাছি পৌঁছে যান। সারাদিন, খুন, ডাকাতি, রাহাজানির গল্পের মাঝে কোথাও যেন অক্সিজেন যোগাচ্ছেন তিনি। সূত্র : কলকাতা ২৪।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।