Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ডেডলাইন পার হলেও নাগা শান্তি আলোচনায় চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নাগাল্যান্ডে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরের ডেডলাইন ৩১ অক্টোবর পেরিয়ে গেলেও কোন চ‚ড়ান্ত নিস্পত্তি হয়নি। নয়া দিল্লি বলছে চ‚ড়ান্ত নিস্পত্তিতে আসার আগে সকল নাগা গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মনিপুর ও অরুনাচল প্রদেশের সঙ্গে আলোচনা হবে এবং তাদের উদ্বেগগুলো আমলে নেয়া হবে। এদিকে, নাগাল্যান্ডের সংবাদ মাধ্যম ইস্ট মোজো জানিয়েছে যে, স্বাধীনতাকামী সংগঠন এনএসসিএন (আই-এম) এর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বৃহত্তম নাগালিম (নাগা স্বশাসিত এলাকা) পতাকা মেনে নিয়েছে কেন্দ্র সরকার।
সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, এই বিশেষ পতাকা নাগা জাতি তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারবে। তবে এখনই এই বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানানো হচ্ছে না।রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিসেম্বরে বিখ্যাত হর্নবিল উৎসবে যোগ দিতে নাগাল্যান্ড যাবেন। সেখানেই তিনি সবকিছু ঘোষণা করবেন। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বহু প্রতীক্ষিত নাগা শান্তি আলোচনার চ‚ড়ান্ত পর্বটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। প‚র্ব নির্ধারিত দিন অনুসারে ৩১ অক্টোবর ছিল শেষ দিন। ফলে বৈঠক নিয়ে উত্তর প‚র্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে ছিল কড়া সতর্কতা। কারণ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এনএসসিএন(আই-এম) যে প্রস্তাবিত নাগালিম গঠন করতে চায়, তার কিছু অংশ অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুর থেকে কেটে নেওয়ার দাবি রাখা রয়েছে। এর জেরে দুই রাজ্যেই ছড়িয়েছে অসন্তোষ। আবার আলোচনারপন্থী সংগঠনটির প্রতিপক্ষ তথা এনএসসিএন(খাপলাং) সংগঠন মায়ানমারের দিক থেকে হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া আলোচনায় নাগা নেতাদের নেতৃত্বে থাকা প্রবীণ বিচ্ছন্নতাবাদী টি মুইভা ও নাগাল্যান্ডের গভর্নরের মধ্যে একাধিক বিষয় উঠে আসে। বৈঠকেই কেন্দ্র সরকার নাগালিমের পৃথক পতাকা মেনে নেয় এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রশ্ন, রক্তাক্ত নাগা পাহাড়ে এবার কি নামবে চিরশান্তি। সূত্রের খবর, নাগাল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করেই ধীরে চলো নীতি নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কারণ ইতিমধ্যে, নাগা আলোচনা ঘিরে মণিপুর উত্তপ্ত।

নাগালিমের অংশ হিসেবে কোনওভাবেই মণিপুরের কোনও অংশ কাাঁ যাবে না বলে আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন। এর জেরে মণিপুরি ও নাগাদের মধ্যে জাতিগত সংঘাত তৈরির সম্ভাবনাও প্রবল। ফলে চ‚ড়ান্ত সতর্কতা জারি। পাশাপাশি উত্তর প‚র্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলিতেও জারি হয়েছে বিশে, সতর্কতা। নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯১৮ সালে কোহিমার নাগা ক্লাব প্রতিষ্ঠা দিয়ে। নিজেদের ভারতীয় হিসেবে ভাবতে নারাজ তারা।

এর জন্য ব্রিটিশ সাইমন কমিশনের কাছে স্মারক লিপিও দেওয়া হয়। ১৯৪৬ সালে নাগা ন্যাশনাল কাউন্সিলের (এনএনসি) তৈরি হয়। সংগঠনটি নাগা হিলস সহ উত্তর প‚র্বের বিস্তীর্ণ এলাকায় পৃথক সার্বভৌম রাষ্ট্রের দাবি জানায়। সেই দাবি অনুসারে অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও মায়ানমারের অংশ নিয়ে তৈরি হবে নাগালিম। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট এনএনসি স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ভারতের সঙ্গে কোনওভাবেই থাকতে রাজি হয়নি এনএনসি। এর পরেই তৈরি হয় নাগা স্বশাসিত এলাকার দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলনের পথ। সূত্র : : সাউথ এশিয়ান মনিটর। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ