Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগাম নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ঐক্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করতে ব্যর্থ হলেও আগাম নির্বাচনের প্রশ্নে অবশেষে বিরল ঐক্য দেখালো ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ফলে ডিসেম্বরের ১২ তারিখে আগাম নির্বাচনের পরেই ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ স্পষ্ট হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

১৯২৩ সালের পর ব্রিটেনে ডিসেম্বর মাসে, বড়দিন উৎসবের ঠিক আগে কখনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নি। কিন্তু সংসদে ব্রেক্সিট নিয়ে লাগাতার অচলাবস্থা কাটাতে জনসন এ ছাড়া অন্য কোনো পথ দেখছেন না। তার আশা, ভোটারদের বিপুল সমর্থন পেয়ে তিনি সরকার গড়তে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সংসদেও টোরি দলের নিজস্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তিনি ব্রেক্সিট চুক্তি অনুমোদন করিয়ে ৩১শে জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকর করতে পারবেন। ব্রেক্সিট সংক্রান্ত অচলাবস্থার জন্য টেরিজা মে ও বরিস জনসন বার বার ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে দায়ী করেছেন। একমাত্র চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ হলেও এতকাল তারা কোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে ঐক্য দেখাতে পারেন নি। তারা কী চান না, শুধু সেটাই বার বার স্পষ্ট করে দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিটের সময়সীমা তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানোর পর সেই প্রবণতা ভেঙে ব্রিটেনের বিরোধী লেবার দল আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেন, চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ঝুঁকি পুরোপুরি দ‚র হওয়ায় তার দল আগের ঘোষণা অনুযায়ী ভোটারদের রায় জানতে প্রস্তুত। উদারপন্থি লিবডেম ও স্কটল্যান্ডের এসএনপি দলও ৯ই ডিসেম্বরের বদলে ১২ই ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ মেনে নিয়েছে। ফলে ৪৩৮ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে, মাত্র ২০ জন বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। সংসদের উচ্চ কক্ষের অনুমোদনের পর সেটি চ‚ড়ান্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব মেনে তারা ১২ই ডিসেম্বর নির্বাচন আয়োজন করার পক্ষে বিপুল সমর্থন জানিয়েছেন। বিবিসি বলছে, ব্রিটিশ সরকারের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৩৮টি আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০ জন। তবে বিলটি এখনো লর্ড সভায় অনুমোদন হওয়ার বাকি রয়েছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকেই এটি আইনে পরিণত হতে পারে। আর তা হলে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য বাকি থাকবে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ। বরিস জনসন বলেছেন, দেশের জনগণের ব্রেক্সিট এবং দেশের ভবিষ্যৎ বিষয়ে মতামত দেয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি আশা করছেন যে, বেক্সিট চুক্তি এবং বর্তমান পার্লামেন্টে অচলাবস্থা নিরসনে তাকে নতুন করে ম্যান্ডেট এনে দেবে নির্বাচন, যে ব্রেক্সিটের জন্য ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এখন সময় পেয়েছে যুক্তরাজ্য। এর আগে ডাউনিং স্ট্রিট থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহের কারণে যে ২১ জন টোরি এমপিকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাদের অর্ধেককে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তারা কনজারভেটিভ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, জনসনের প‚র্বসুরি টেরিজা মেও ২০১৭ সালে আগাম নির্বাচন ডেকে বিপুল জনসমর্থনের আশা করেছিলেন। কিন্তু সে যাত্রায় টোরি দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে জোট সরকার গড়তে বাধ্য হয়েছিল। জনমত সমীক্ষায় টোরি দল এগিয়ে থাকলেও ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কেও বিশেষজ্ঞরা এই মুহ‚র্তে কোনো পূর্বাভাষ দিতে পারছেন না। তবে টোরি দলের পরাজয় ঘটলে অথবা কোনো দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইইউ সদস্যদের সরকারগুলির পরিষদের প্রধান ডোনাল্ড টুস্ক মঙ্গলবার তার বিদায়ী টুইট বার্তায় ব্রেক্সিটের মেয়াদ বাড়ানোর চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ব্রিটিশ বন্ধুদের এই বাড়তি সময় ভালভাবে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ