বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। দুই দফা সময় বৃদ্ধি করা হলেও নির্মাণ কাজে ধীরগতির কারণে এমন আশংকা দেখা দিয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা কিন্তু এখন পর্যন্ত মাটি ভরাট কাজই শেষ হয়নি। এই রেলপথ নির্মাণ কাজ শেষ হলে উত্তরাঞ্চলের আথর্ সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তন ছাড়াও ঢালার চর এলাকায় দীর্ঘ দিনের বিভিন্ন ধরণের অপরাধী চক্রের অভয়ারণ্য হিসেবে ঢালারচর এলাকায় অপরাধ প্রবনতা কমবে আসবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। তাদের মতে, লোক চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে ওই এলাকার আরও উন্নয়ন সাধিত হলে অপরাধের মাত্রা হ্রাস পাবে। সূত্র মতে, বিগত ২০১০ সালের ৫ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর বৈঠকে ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। যার অর্থায়নে রয়েছে জিওবি। ২০১১ সালে ৪ মার্চ নিয়মিত মন্ত্রী সভার বৈঠকে ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেললাইন প্রকল্পে ৬৪ কোটি টাকার টেন্ডার আহŸানের অনুমোদন দেয়া হয়। সেই টেন্ডার অনুযায়ী চলছে নির্মাণ কাজ। ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদীর মাঝগ্রাম রেলস্টেশন থেকে পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর পর্যন্ত রেললাইন হবে ৭৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১১টি রেলস্টেশন, ১০২টি ছোট ব্রীজ এবং ১১টি বড় ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। লেভেল ক্রসিং গেট থাকবে ৫০টি। এজন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে মোট ১ হাজার ১৪ দশমিক ২১ একর। ভূমি অধিগ্রহণে জমির মালিকদের এল/এ চেক প্রদানের সময় অসাধু কর্মকর্তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ নানা কায়দায় হাতিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। অধিগ্রহণকৃত ভূমির মালিকরা তাদের টাকা দ্রæত ছাড় করাতে অর্থ দিতে হয়েছে। অপরদিকে, জমি অধিগ্রহণে ন্যায্যমুল্য না পাওয়া নিয়েও রয়েছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
তারপরও তারা রেলপথ বাস্তবায়ন দ্রæত হোক এটা প্রত্যশা করেছেন। প্রথম দফায় ৫টি প্যাকেজে ১৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট, রেললাইন স্থাপন, রেলক্রসিং গেট, পাবনা পর্যন্ত স্টেশন নির্মাণ কাজ চলছে। প্রথম দফায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফা সময় বৃদ্ধি করে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা কথা রয়েছে। কিন্তু কাজের ধীরগতি দেখে সবার মনে এই ্আশংকা দেখা দিয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের সময় এক টেলি-কনফারেন্সে পাবনায় রেলপথ স্থাপনের প্রতিশ্রæতি দেন ।সেই প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে উদ্যেগ নেওয়া হয়।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ২০১৩ সালের ২ ফেব্রæয়ারি পাবনায় এক জনসভায় এ রেলপথ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।