নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মেসিময় রাতে দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। সতীর্থদের দিয়ে দুই গোল করানোর মাঝে লিওনেল মেসি মুগ্ধতা ছড়ালেন অবিশ্বাস্য ফ্রি কিকে। পরে করলেন আরও এক গোল। কাম্প ন্যুয়ে মঙ্গলবার রাতে লা লিগায় রিয়াল ভাইয়াদলিদকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নদের অন্য তিন গোলদাতা ক্লেমোঁ লংলে, আর্তুরো ভিদাল ও লুইস সুয়ারেস। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ফিরেছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।
অনেকটা সৌভাগ্যসূ্চক গোলে স্বাগতিকদের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। দ্বিতীয় মিনিটে কয়েক জনের পায়ে লেগে ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শট নেন ক্লেমোঁ লংলে। বল প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে কিছুটা দিক পাল্টে জালে জড়ায়। পঞ্চদশ মিনিটে বাঁ দিক থেকে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মিচেলের ডান পায়ের ক্রসে আপাত কোনো বিপদের শঙ্কা ছিল না। তবে শেষ মুহূর্তে বাঁক খাওয়া বল বুক দিয়ে ঠেকিয়ে বিপদ ডেকে আনেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ফাঁকায় বল পেয়ে হাঁটু দিয়ে ঠিকানায় পাঠান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার কিকো। ২৬তম মিনিটে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রেংকি ডি ইয়ংয়ের ক্রসে অনেকটা লাফিয়েও ঠিকমতো হেড করতে পারেননি ভিদাল। তার মাথা ছুঁইয়ে বল চলে যায় বাইরে। তিন মিনিট পর আর জালের দেখা পেয়ে যান চিলির এই মিডফিল্ডার। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ এক চিপে ছোট ডি-বক্সের মুখে বল উড়িয়ে দেন মেসি, আর নিখুঁত ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন ভিদাল। এই গোলের রেশ না কাটতেই মেসির সেই অবিশ্বাস্য ফ্রি কিক। ২৭ গজ দূর থেকে বাঁকানো যে শটটি নেন, তা বোধহয় ঠেকানোর সাধ্য নেই কোনো গোলরক্ষকের। বল একেবারে পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়তে পারতো। তবে মেসির পাস ফাঁকায় পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর শট নেন আনসু ফাতি। ৭৫তম মিনিটে আবারও মেসি জাদু। ইভান রাকিতিচের বাড়ানো বল ঊরু দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোরালো শটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন এবারের ফিফা বর্ষসেরা। মৌসুমে তার মোট গোল হলো পাঁচটি। দুই মিনিট পর লুইস সুয়ারেসের গোলের উৎসও মেসি। অধিনায়কের রক্ষণচেরা পাস ডি-বক্সে পেয়ে স্কোরশিটে নাম লেখান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। আসরে এটা তার ষষ্ঠ গোল। যোগ করা সময়ে হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন মেসি। একজনকে কাটিয়ে সুয়ারেস বল বাড়ান পেনাল্টি স্পটের কাছে, ফাঁকায় পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
১০ ম্যাচে সাত জয় ও এক ড্রয়ে শীর্ষে ফেরা বার্সেলোনার পয়েন্ট ২২। দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া গ্রানাদার পয়েন্ট ২০। দিনের আরেক ম্যাচে দেপোর্তিভো আলাভেসের মাঠে ১-১ ড্র করা আতলেতিকো মাদ্রিদ ১১ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। সমান ১৯ পয়েন্ট নিয়ে যথাক্রমে চার ও পাঁচ নম্বরে আছে রিয়াল সোসিয়েদাদ ও সেভিয়া। ১০ ম্যাচ করে খেলেছে দল দুটি। ৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।