পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্ষা বিদায় না হতেই কির্তনখোলা নদীর ভয়াবহ নাব্যতা সঙ্কটে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বরিশাল নদী বন্দর মারাত্মক অচলাবস্থার সম্মুখীন। ইতোমধ্যে ভাটির সময়ে এ বন্দরে বড় মাপের নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
প্রায় প্রতি রাতেই বন্দর ত্যাগ করার সময় বরিশাল-ঢাকা রুটের বড় মাপের নৌযানগুলো বন্দরে আটকা পড়ে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। ফলে বরিশাল-ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহনে সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করছে। বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে বন্দরে হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে সম্পন্ন করে একটি ড্রেজার মোতায়েন করলেও খনন কাজ শুরু করতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বরিশাল বন্দরে নৌযান মালিক ও কর্মচারীসহ গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সাথে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে বিআইডব্লিউটিএ। সভার আলোচনার আলোকে বন্দর এলাকা থেকে অপসারিত পলি কোথায় ফেলা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণসহ খনন কাজ শুরু হবে বলে বরিশালের বন্দর কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত প্রায় দুই যুগ ধরে বর্ষা মৌসুম শেষ হবার সাথে সাথেই বরিশাল নদীবন্দরে নাব্যতা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করে। অক্টোবরের শেষ ভাগ থেকেই এ বন্দরে খনন কাজ শুরু করে জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। তবে অদ্যবধি বরিশাল বন্দরের নাব্যতা উন্নয়ন টেকসই করার লক্ষে পরিপূর্ণ কোন মডেল স্ট্যাডি করে সে আলোকে ড্রেজিং করা হয়নি। তবে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-আশুগঞ্জ নৌপথসহ বরিশাল বন্দরের নাব্যতা উন্নয়নে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। যার বাস্তব কোন কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সম্প্রতি। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারিত রয়েছে।
প্রতি বছর রাজস্ব বাজেট বা উন্নয়ন বাজেট থেকে বরিশাল বন্দরে ড্রেজিং করা হচ্ছে। বছর না ঘুরতেই নাব্যতা সঙ্কটে পুনরায় বন্দর অচলাবস্থায় পড়ছে। চলতি বছর বরিশাল বন্দরে এখনও খনন শুরুই হয়নি। এ লক্ষে প্রাথমিক হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে সম্পন্ন করে একটি ড্রেজারও মোতায়েন করা হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ পলি অপসারণ করতে হবে তা এখনো নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ। তবে ন্যূনতম সোয়া লাখ কিউবিক মিটার পলি অপসারণের প্রয়োজন হতে পারে।
বন্দরের একতলা লঞ্চঘাট থেকে শুরু করে দোতলা ঘাট হয়ে রকেট স্টিমার ঘাট পর্যন্ত খনন করে নাব্যতা উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি একতলা ঘাট থেকে পদ্মাবতি চ্যানেল হয়ে মাছ ঘাট পর্যন্ত চ্যানেলটিও খনন করতে হবে বলে বরিশাল মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
তবে জরুরি ভিত্তিতে ড্রেজিং শুরুসহ তা যত দ্রুত শেষ করা যায় ততই মঙ্গল বলে বন্দর ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন। এবারের এ ড্রেজিং দুই স্তরে সম্পন্ন হবে, নাকি একই সাথে পরিপূর্ণ খনন শেষ করা হবে, তা নির্ভর করছে নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা পরিস্থিতি কতটা নাজুক তার ওপর। আগামীকালের সভায় এসব বিষয়েও আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।